নবজাতকের ইসলামিক সুন্দর নাম মেয়ে

একজন নবজাতক জন্মগ্রহণ করার পরে এক কথায় তাকে চেনার জন্য একটি সুন্দর নাম রাখি। সেই নবজাতকের নামটি যদি হয় ইসলামিক এবং সুন্দর নাম তাহলে কেমন হয়?
নবজাতকের-ইসলামিক-সুন্দর-নাম
আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে নবজাতকের ইসলামিক সুন্দর নাম নিয়ে হাজির হয়েছি। তবে আজকে আর্টিকেলে শুধুমাত্র কন্যা সন্তানের ইসলামিক নাম দেওয়া হয়েছে। তাই যারা মেয়েদের ইসলামিক নাম জানতে চাচ্ছেন তারা আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন।

পেজ সূচিপত্রঃ

আ দিয়ে নবজাতকের নাম

নাম বাংলা অর্থ ইংরেজি
আফীফা সাধ্বী, নির্মল AFIFA
আফিয়া পূণ্যবর্তী AFIA
আফরা সাদা AFRA
আনিফা রূপসী ANIFA
আযীমা মহতী AZIMA
আলীমা জ্ঞানবতী ALIMA
আতীয়া উপহার ATIYA
আদিলাহ ন্যায় বিচার ADILAH
আতকিয়া ধার্মিক  ATKIA

ই দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম

নাম বাংলা অর্থ ইংরেজি
ইবা সম্মান, গর্ব EBA
ইয়াসমিন জুঁই ফুল YESMEN 
ইশরাত উত্তর আচারণ ISHRAT
ইকরা আবৃতি করা IQRA
ইফরা সুখী IFRA
ইভা আশ্রয় প্রদান EVA
ঈসা সৃষ্টিকর্তাই পরিত্রাণ ESHA
ইরা আগুন জ্বালানো ERA
ইসমা নাম ESMA

স দিয়ে নবজাতকের ইসলামিক নাম

নাম বাংলা অর্থ ইংরেজি
সুমাইয়া সুখ্যাতি SUMAIYA
সাঈদা নদী SAIDA
সাইমা রোজাদার SAIMA
সুফিয়া আধ্যাত্মিক সাধনকারিণি SUFIA
সাবা পূবালী বাতাস SABA
সাবিহা রূপসী SABIHA
সুরাইয়া সপ্তর্ষিমন্ডল SURAIYA
সিমা কপাল SIMA
সানজিদা বিবেচক SANJIDA

ম দিয়ে ইসলামিক সুন্দর নাম

নাম বাংলা অর্থ ইংরেজি
মেহজাবিন সুন্দরী MEHJABIN
মাহফুজা নিরাপদ MAHFUJA
মাহমুদা প্রশংসিত MAHMUDA
মালিহা রূপসী MALIHA
মায়িশা সুখী জীবন MAISA
মুমিনা বিশ্বাসী MUMINA
মাসুমা নিষ্পাপ MASUMA
মুতাহারা পতিত্র MUTAHARA
মাসুদা সৌভাগ্যবতী MASUDA

র দিয়ে মেয়ে সন্তানের নাম

নাম বাংলা অর্থ ইংরেজি
রিমা সাদা হরিণ RIMA
রুমালী কবুতর RUMALI
রোমানা ডালিম MOMANA
রুপজান প্রিয় সুন্দরি RUPJAN
রুমাইয়া তীরন্দাজি RUMAIYA
রহিমা দয়ালু ROHIMA
রাবেয়া নিঃস্বার্থ RABEYA
রশীদা পথর্শিকা ROSHIDA
রোশনী আলো ROSHNI
রুকাইয়া উচ্চতর RUKAIYA

ন দিয়ে নবজাতকের ইসলামিক সুন্দর নাম

নাম বাংলা অর্থ ইংরেজি
নুশরাত সাহায্য NUSRAT
নাইমা সুখী জীবন NAYMA
নওশীন মিষ্টি NOSHIN
নিশাত আদন্দ NISHAT
নুসাইবা ভাগ্যবতী NUSHAIBA
নাজিয়া নিরাপদ  NAJIRA
নুজহাত প্রফুল্ল NUJHAT
নাওয়াল উপহার NAOYAL
নাদিরা বিরল NADIRA

জ দিয়ে নবজাতকের ইসলামিক নাম

নাম বাংলা অর্থ ইংরেজি
জারিনা একনিষ্ঠ সেবিকা JARINA
জুনাইদা নম্র JUNAIDA
জুহরা উজ্জ্বল আলো JUHURA
জাহিদা সৎকর্মে লিপ্ত JAHIDA
জামিলা সুন্দরী LAMELA
জান্নাত বেহেশত JANNAT
জারিফা বুদ্ধিমতী JARIFA
জাইমা দানশীল JAIMA
জিনিয়া সৌন্দর্য JINIYA

মেয়েদের নামের আগে কি বসে

মেয়েদের নামের আগে আমাদের দেশে সাধারণত মোছাঃ দেওয়া হয়। তবে অনেকেই এর মোসাঃ দিয়ে থাকে। মোছাঃ বা মোসাঃ যাই দেননা কেন এটি আরবি শব্দ "মোসাম্মৎ" থেকে এসেছে। যার অর্থ দাড়ায় "বিশেষভাবে উল্লেখিত" অন্যভাবে দেখলে শব্দটির অর্থ দাঁড়ায় "নামযুক্ত" আমরা সাধারণত মেয়েদের নাম রাখি এভাবে "মোছাঃ জামিলা খাতুন" কিন্তু এটি কোন সুন্নতি পদ্ধতি নয়। সুন্নতি পদ্ধতি হলো "জামিলা বিনতে সুমন" এর অর্থ সুমন এর কন্যা জামিলা।

অর্থাৎ, উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে "মেয়েদের নামের আগে কি বসে?" প্রশ্নের উত্তর দিতে চাইলে উত্তর হবে মেয়েদের নামের আগে কোন কিছুই দেওয়া ঠিক না বরং শুরুতে নিজের নাম এর পর বিনতে তারপর পিতার নাম দেওয়া উচিৎ। যেমন: 'জামিলা বিনতে সুমন', 'মাসুমা বিনতে মুরাদ', ইকরা বিনতে শিহাব' ইত্যাদি।

ইসলামিক নাম রাখার গুরুত্ব

নাম হলো কোন মানুষের পরিচয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও মৌলিক মাধ্যম। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) স্পষ্ট নাম রাখার বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। ভালো নাম রাখার পাশাপাশি মন্দ ও অসুন্দর নাম না রাখার জন্য সতর্ক করেছেন। এবং অসুন্দর নাম পরিবর্তন করে ভালো নাম রাখাকে আমলের সাথে তুলনা করেছেন। এমনকি অনেক হাদিসে পাওয়া গেছে যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যদি দেখতেন কারো নাম অসম্ভর অথবা নামের অর্থ অসুন্দর তাহলে তার নাম নবী (সাঃ)‌ নিজেই তার নাম পরিবর্তন করে অর্থবহল ভালো নাম রাখতেন।
নাম রাখার নির্দেশ স্বরুপ কয়েকটি হাদিস নিচে দেওয়া হলো:

১) হযরত আবুদ দারদা রা. বলেন, রাসুল (সঃ) বলেছেন কিয়ামতের দিন তোমাদেরকে ডাকা হবে তোমাদের ও তোমাদের বাবার নাম নিয়ে (অর্থাৎ, মাসুমা বিনতে মুরাদ এভাবে ডাকা হবে)। তাই তোমরা নিজেদের জন্য সুন্দর নাম রাখ। [সুনানে আবু দাউদ-৪৯৪৮]

২) ঐ ব্যক্তি কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলার সবচেয়ে বেশি রাগের কারণ হবে, যাকে মালিকুল আমলাক (বাদশাহদের বাদশাহ) নামে ডাকা হয়। আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত বাদশাহ আর কেউ নেই। [মুসলিম- ২১৪৩]
এ হাদীস দ্বারা বুঝা যায়, শাহজাহান, আলমগীর, জাহাঙ্গীর, শাহ আলম ইত্যাদি নাম রাখা উচিত নয়।

৩) হযরত ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত, হযরত ওমর রা.-এর এক মেয়ের নাম ছিল আছিয়া। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তার নাম পরিবর্তন করে জামিলা রাখলেন। [মুসলিম-২১৩৯
কারণ, আছিয়া শব্দের একটি অর্থ, নাফরমান, অবাধ্যচারিনী। কোনো মুসলমানের জন্য এ ধরনের নাম রাখা উচিত নয়। কারন, এ নামের মধ্যে আল্লাহ তাআলার অবাধ্যাচরণের ইঙ্গিত পাওয়া যায়।

উপরে বর্ণিত সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও হাদিস সমূহ প্রমাণ করে যে সন্তানের সন্তানের ইসলামিক নির্দেশনা অনুযায়ী ভালো নাম রাখা পিতা মাতার একান্তই দায়িত্ব।

শেষ কথা

আজকের আর্টিকেলে মাধ্যমে ইসলামিক সুন্দর নাম রাখার গুরুত্ব, এবং নবজাতকের ইসলামিক সুন্দর নাম, নামের অর্থ এবং ইংরেজি বানান নিয়ে আলোচনা করেছি। তবে নামের বানান একেকজন একেক রকম ভাবে লিখে থাকে। তাই, নামের বানানের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন তৈরি করার সময় যেই বানান দেওয়া হয় সেই বানানটিই সঠিক বলে গণ্য করা হয়।
পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কোনো কমেন্ট করা হয় নি
কমেন্ট করতে ক্লিক করুন

শেষ পাতার কমেন্ট পলিসি মেনে কমেন্ট করুন।

comment url