কি খেলে ৭ দিনে মোটা হওয়া যায়
কি খেলে ৭ দিনে মোটা হওয়া যায়? অথবা কম সময়ে মোটা হওয়ার উপায় কি? এই সকল
প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি আজকের আর্টিকেলে। তাই
যাঁরা প্রাকৃতিক উপায়ে মোটা হতে চাচ্ছেন তাঁরা মনোযোগ দিয়ে সম্পূর্ণ
আর্টিকেলটি পড়ুন।
স্বাস্থ্য ভালো রাখা এবং সঠিক ওজনে থাকা আমাদের জীবনের জন্য অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই আছেন যারা ওজন বাড়ানোর জন্য নানা ধরনের প্রচেষ্টা করেন। এই
আর্টিকেলে আলোচনা করব কীভাবে সুষম খাদ্যাভ্যাস ও সঠিক লাইফস্টাইল মেনে ৭ দিনের
মধ্যে ওজন বাড়ানো যায়।
পেজ সূচিপত্রঃ কি খেলে ৭ দিনে মোটা হওয়া যায়
- কি খেলে ৭ দিনে মোটা হওয়া যায়
- কেন দ্রুত মোটা হওয়ার প্রয়োজন হতে পারে
- দ্রুত মোটা হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালোরি গ্রহণ
- ওজন বাড়ানোর জন্য প্রাকৃতিক বিভিন্ন পদ্ধতি
- ঘরে তৈরি স্মুদি ও প্রোটিন শেক খেয়ে মোটা হওয়ার উপায়
- ওজন বাড়ানোর জন্য চর্বি এবং তেল
- মোটা হওয়ার জন্য ব্যায়ামের গুরুত্ব
- মোটা হওয়ার জন্য মিষ্টি খাবার খাওয়া
- চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে মোটা হওয়ার উপায়
- শেষ কথা
কি খেলে ৭ দিনে মোটা হওয়া যায়
এক সপ্তাহে মোটা হওয়া সম্ভব হলেও তা স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ হওয়া জরুরি।
সাধারণভাবে, দ্রুত ওজন বাড়ানোর জন্য উচ্চ ক্যালোরি সমৃদ্ধ খাবার, প্রোটিন,
স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং ভালো কার্বোহাইড্রেটের সমন্বয় প্রয়োজন। প্রাথমিকভাবে,
দৈনন্দিন খাবারের পরিমাণ বাড়ানো উচিত এবং পুষ্টিকর খাবারের প্রতি মনোযোগ দিতে
হবে। যেমন, ডিম, দুধ, মাংস, মাছ, বাদাম, অ্যাভোকাডো, এবং সুগন্ধি তেল (যেমন অলিভ
অয়েল) উচ্চ ক্যালোরি সমৃদ্ধ খাবার। এ ছাড়া, প্রতি দিন শর্করা এবং প্রোটিন
সমৃদ্ধ খাবার যেমন ভাত, পাস্তা, ছোলা, মটর, দই, ফলমূল খাওয়া যেতে
পারে।
তাছাড়া, যারা দ্রুত ওজন বাড়াতে চান, তাদের জন্য সুষম খাদ্যাভ্যাস বজায়
রাখার পাশাপাশি নিয়মিত শক্তি বৃদ্ধি ব্যায়াম করা যেমন স্কোয়াট, পুশ-আপ, বেঞ্চ
প্রেস ইত্যাদি ওজন বাড়াতে সহায়ক। তবে, দ্রুত ওজন বাড়াতে চাইলে, শরীরের উপর চাপ
পড়ে যাতে কোনো ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
কেন দ্রুত মোটা হওয়ার প্রয়োজন হতে পারে
দ্রুত মোটা হওয়ার প্রয়োজন অনেক কারণেই হতে পারে, যা শারীরিক, মানসিক এবং
সামাজিক প্রেক্ষাপটের ওপর নির্ভর করে। স্বাস্থ্যগত দিক থেকে, অপুষ্টি বা গুরুতর
অসুস্থতার পর শরীরকে পুনরুদ্ধার করতে অতিরিক্ত পুষ্টি গ্রহণের মাধ্যমে ওজন
বাড়ানোর প্রয়োজন হতে পারে। যেমন, টিউবারকুলোসিস, ক্যানসার, বা দীর্ঘমেয়াদী
রোগের ফলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়লে দ্রুত ওজন বাড়ানো জরুরি হয়ে পড়ে। কম ওজন
জনিত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে হাড় দুর্বল হয়ে যাওয়া, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা এবং
সন্তানধারণে সমস্যা, যা কাটিয়ে উঠতে ওজন বাড়ানো জরুরি।
আরো পড়ুনঃ দ্রুত লম্বা হওয়ার ঘরোয়া উপায়
মানসিক দিক থেকেও, কম ওজনের কারণে অনেক সময় আত্মবিশ্বাসের অভাব দেখা দিতে পারে
বা সামাজিক চাপের সম্মুখীন হতে হয়, যা মোকাবিলা করার জন্য অনেকে নিজের শারীরিক
গঠন পরিবর্তন করতে চান। এছাড়াও, কিছু নির্দিষ্ট পেশার ক্ষেত্রে শারীরিক গঠনের
ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যেমন মডেলিং বা অভিনয়, যেখানে প্রয়োজন অনুযায়ী
ওজন বাড়ানোর চাপ থাকতে পারে। তাই দ্রুত মোটা হওয়ার বিষয়টি ব্যক্তির প্রয়োজন
এবং পরিস্থিতির ওপর নির্ভরশীল। তাই অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে, কি খেলে ৭ দিনে
মোটা হওয়া যায়? তবে দ্রুত মোটা হওয়ার আগে স্বাস্থ্যকর পদ্ধতি মেনে চলা
অত্যন্ত জরুরি।
দ্রুত মোটা হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালোরি গ্রহণ
ওজন বাড়ানোর জন্য প্রথম ধাপে প্রতিদিন আপনার ক্যালোরি গ্রহণের পরিমাণ বাড়াতে
হবে। খাবারে বেশি ক্যালোরি যোগ করার জন্য নিম্নলিখিত খাবারগুলি কার্যকর হতে
পারে:
- প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার: ডিম, মাছ, মুরগি বা গরুর মাংস, চিজ, পনির, দুধ, দই, এবং অন্যান্য দুগ্ধজাত খাবার
- স্বাস্থ্যকর চর্বি: কাজু, আমন্ড বা পেস্তা বাদাম, বাদামের মাখন, অ্যাভোকাডো, অলিভ অয়েল,নারকেল তেল এবং তিল বা সূর্যমুখী বীজ।
- কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার: ভাত, রুটি বা পাস্তা, ওটস, হোল গ্রেইন সিরিয়াল, আলু এবং অন্যান্য স্টার্চ জাতীয় খাবার।
- ফল এবং শুকনো ফল: কলা, আম, আঙুর, খেজুর, কিশমিশ, শুকনো খেজুর, ডুমুর এবং শুকনো এপ্রিকট।
- উচ্চ-ক্যালোরি স্ন্যাকস: ডার্ক চকলেট, হোমমেড গ্র্যানোলা বার, মধু এবং দই।
- পুষ্টিকর পানীয়: ফুল-ফ্যাট দুধ বা চকলেট দুধ, মধু বা বাদামের মাখন দিয়ে তৈরি স্মুদি, প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট শেক ইত্যাদি।
দ্রুত মোটা হতে প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার
প্রোটিন শরীরের পেশি গঠনে সহায়ক, যা ওজন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন
করে। এগুলো নিয়মিত খেলে জানতে পারবেন কি খেলে ৭ দিনে মোটা হওয়া যায়।
প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবারগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- ডিম: সম্পূর্ণ প্রোটিনের একটি উৎকৃষ্ট উৎস।
- মুরগির মাংস: চর্বি কম এবং প্রোটিন বেশি।
- গরুর মাংস: বিশেষ করে লিন (চর্বিহীন) অংশ।
- চিংড়ি ও সামুদ্রিক মাছ: সালমন, টুনা, স্যাডিন, ইলিশ মাছে প্রোটিনে ভরপুর।
- দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার: দুধ, দই, পনির, চিজ।
- পোল্ট্রি লিভার: প্রোটিন ও আয়রনে সমৃদ্ধ।
- ডাল ও শিমজাতীয় খাবার: মসুর ডাল, ছোলা, মটরশুটি।
- বাদাম ও বীজ: কাজু, আমন্ড, তিল, সূর্যমুখী বীজ।
- সয়াবিন: যারা নিরামিষভোজী, তাদের জন্য সয়াবিন একটি দারুণ বিকল্প।
ওজন বাড়ানোর জন্য প্রাকৃতিক বিভিন্ন পদ্ধতি
ওজন বাড়ানোর জন্য প্রাকৃতিক পদ্ধতি অনুসরণ করলে আপনি স্বাস্থ্যকরভাবে ওজন
বাড়াতে পারবেন, যা দীর্ঘমেয়াদে শরীরের জন্য ভালো। এখানে কিছু প্রাকৃতিক উপায়
দেওয়া হলো যা আপনার ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে:
- বেশি ক্যালোরি খাওয়া।
- খাবারের পরিমাণ বৃদ্ধি করা।
- শক্তি বাড়ানোর ব্যায়াম করা।
- পুষ্টিকর স্ন্যাকস খাওয়া।
- প্রোটিনের পরিমাণ বাড়ানো।
- পর্যাপ্ত ঘুম এবং বিশ্রাম নেওয়া।
- পানি ও তরল খাবার।
- মানসিক চাপ কমানো।
- নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।
ঘরে তৈরি স্মুদি ও প্রোটিন শেক খেয়ে মোটা হওয়ার উপায়
ঘরে তৈরি স্মুদি ও প্রোটিন শেক খাওয়ার মাধ্যমে মোটা হওয়ার জন্য সঠিক উপাদান
ব্যবহার করা এবং নিয়মিত পান করা জরুরি। এগুলো ওজন বাড়াতে কার্যকর কারণ এতে
প্রাকৃতিক উপাদান ও পুষ্টি থাকে। নিচে কয়েকটি সহজ ও পুষ্টিকর রেসিপি দেওয়া
হলো:
- কলা এবং পিনাট বাটার স্মুদি: ২টি পাকা কলা, ২টেবিল চামচ পিনাট বাটার, ১ কাপ দুধ, ১টেবিল চামচ মধু ব্লেন্ডারের মিশিয়ে স্মুদি তৈরি করে সকালে ব্যায়ামের পরে পান করুন।
- ওটস স্মুদি: ১ কাপ ওটস হালকা ভিজিয়ে নিয়ে ১কাপ দুধ, ২ টেবিল চামচ কাজুবাদাম, ১ টেবিল চামচ কিসমিস, ১ টেবিল চামচ চিনি বা মধু একসঙ্গে ব্লেন্ড করে পান করুন।
- চকলেট প্রোটিন শেক: ১কাপ দুধ, ১ টেবিল চামচ কোকো পাউডার, ২ স্কুপ চকলেট প্রোটিন পাউডার, ২ টেবিল চামচ পিনাট বাটার, এক চিমটি ভ্যানিলা এসেন্স একসঙ্গে ব্লেন্ড করে শেক তৈরি করুন এবং প্রতিদিন বিকেলে স্ন্যাকস হিসেবে উপভোগ করুন।
- ম্যাংগো স্মুদি: ১কাপ পাকা আমের টুকরা, ১ কাপ দুধ, ১ টেবিল চামচ চিনি বা মধু একসঙ্গে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে ঘন স্মুদি তৈরি করুন। গরমকালে এটি খুব সতেজ অনুভূতি দেয়।
- ডেটস এবং মিল্ক স্মুদি: ৫-৬টি খেজুর এবং এক টেবিল চামচ কাজুবাদাম ১ কাপ দুধে ভিজিয়ে রেখে ২-১ চা চামচ এলাচ গুঁড়ো মিশিয়ে ব্লেন্ড করে খেলে শক্তির যোগান দেয়।
ওজন বাড়ানোর জন্য চর্বি এবং তেল
ওজন বাড়াতে চর্বি এবং তেল ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতি
- রান্নায় ব্যবহার: ভাত, রুটি বা নুডলসে অলিভ অয়েল বা নারকেল তেল ব্যবহার করুন। ঘি বা বাটার দিয়ে পরোটা, রুটি বা ডাল তৈরি করতে পারেন।
- সালাদের ড্রেসিং: সালাদে অলিভ অয়েল, ফ্ল্যাক্সসিড অয়েল, বা অ্যাভোকাডো তেল ব্যবহার, বাদামের টুকরো বা তিল ছড়িয়ে দিন।
- স্মুদি ও শেকে যোগ করুন: স্মুদিতে নারকেল তেল বা বাদামের মাখন মিশিয়ে নিন। একই সাথে প্রোটিন শেকে ১ চা চামচ অলিভ অয়েল মেশানো যেতে পারে।
- স্ন্যাকস হিসেবে স্বাস্থ্যকর চর্বি যুক্ত খাবার: কাজু, বাদাম, আখরোট বা পেস্তা খান এবং পিনাট বাটার টোস্টে ব্যবহার করুন।
- রান্না-বান্নার সময় অতিরিক্ত তেল ব্যবহার: ভাজা খাবারে ঘি বা বাটার ব্যবহার করুন। স্যুপ বা স্টুতে ফ্যাট যুক্ত তেল মেশান।
মোটা হওয়ার জন্য ব্যায়ামের গুরুত্ব
মোটা হওয়ার জন্য শুধুমাত্র খাবার খাওয়া নয়, সঠিক ব্যায়াম করাও অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই মনে করেন, ব্যায়াম কেবল ওজন কমানোর জন্য। তবে বাস্তবে,
ব্যায়াম পেশি গঠন, শক্তি বৃদ্ধি, এবং স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন বাড়াতে সাহায্য
করে। নিচে এর গুরুত্ব এবং সঠিক পদ্ধতি আলোচনা করা হলো।
মোটা হওয়ার জন্য ব্যায়ামের প্রভাব:
- পেশি গঠন করে ওজন বাড়ানো: শুধু চর্বি নয়, পেশি বাড়িয়ে মোটা হওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। ব্যায়ামের মাধ্যমে প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টি পেশিতে রূপান্তরিত হয়।
- ক্ষুধা বাড়ায়:ব্যায়াম শরীরের মেটাবলিজম বাড়ায়, যার ফলে ক্ষুধা বৃদ্ধি পায় এবং আপনি বেশি খেতে পারেন।
- শক্তি বাড়ায়: ওজন বাড়াতে শরীরকে শক্তিশালী রাখতে হবে। ব্যায়াম শরীরকে ফিট এবং শক্তিশালী রাখে।
- ফ্যাট জমা হওয়া নিয়ন্ত্রণ করে: শুধু খাবার খেলে অতিরিক্ত ফ্যাট জমতে পারে। ব্যায়াম করলে তা পেশিতে রূপান্তরিত হয় এবং ফ্যাটের ভারসাম্য বজায় থাকে।
- হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে: ব্যায়াম টেস্টোস্টেরন এবং গ্রোথ হরমোনের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়, যা পেশি গঠনে সহায়ক।
মোটা হওয়ার জন্য সেরা ব্যায়ামগুলো:
- ওজন তুলনা বা রেসিস্ট্যান্স ট্রেনিং: স্কোয়াট, ডেডলিফট, বেঞ্চ প্রেস, পুল-আপ, ডাম্বেল কার্লস জাতীয় ব্যায়াম পেশি গঠন এবং ওজন বাড়ানোর জন্য আদর্শ।
- কম্পাউন্ড ব্যায়াম: পুশ-আপ, লাঞ্জেস, প্ল্যাঙ্ক। যে ব্যায়াম একাধিক পেশিকে সক্রিয় করে, তা দ্রুত ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
- যোগব্যায়াম এবং স্ট্রেচিং: এটি দেহের নমনীয়তা বাড়ায় এবং ক্ষুধা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
মোটা হওয়ার জন্য মিষ্টি খাবার খাওয়া
কি খেলে ৭ দিনে মোটা হওয়া যায়? প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই মিষ্টি জাতীয় খাবার
বেশি বেশি খাওয়ার কথা বলতে পারে। মিষ্টি খাবার খাব একটু সহজ উপায় মনে হলেও
এটি দীর্ঘ মেয়াদে স্বাস্থ্যসম্মত হতে পারে না। কারণ, অতিরিক্ত চিনি শরীরের
ফ্যাট হিসেবে জমতে পারে। তাই স্বাস্থ্যসম্মতভাবে মোটা হতে চাইলে পরিশোধিত
চিনি এড়িয়ে প্রাকৃতিক মিষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন। ফলের মধ্যে রয়েছে
আম, কলা, আঙ্গুর, খেজুর এবং মধু, খেজুরের রস থেকে তৈরি গুড় ইত্যাদি। এছাড়াও
ঘরে তৈরি মিষ্টি দই, পায়েস, লাড্ডু, ফলের স্মুদি সহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর
মিষ্টি খেতে পারেন।
চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে মোটা হওয়ার উপায়
মোটা হওয়ার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সঠিক
পরামর্শ ও নির্দেশনা ছাড়া ওজন বাড়ানোর চেষ্টা করলে স্বাস্থ্যগত সমস্যার সৃষ্টি
হতে পারে। চিকিৎসক আপনার শারীরিক অবস্থান, রোগ ইতিহাস এবং অন্যান্য সমস্যা
বিবেচনা করে কি খেলে ৭ দিনে মোটা হওয়া যায় সেগুলো, সঠিক ডায়েট এবং ব্যায়ামের পরিকল্পনা সাজিয়ে দিতে পারেন। এখানে
কিছু পদক্ষেপ দেওয়া হলো যা চিকিৎসকের পরামর্শে আপনি সেগুলো অনুসরণ করতে পারেন:
- মোটা হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করার আগে চিকিৎসকের সাথে একটি পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো উচিত।
- পুষ্টিবিদ থেকে সঠিক খাদ্য পরামর্শ নিয়ে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও প্রাকৃতিক মিষ্টি পরিমান মতো খাওয়া উচিৎ।
- সাধারণত, দৈনিক ৫০০-১০০০ অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়।
- মোটা হতে হলে শুধু খাওয়া নয়, ব্যায়ামও গুরুত্বপূর্ণ। তাই, ব্যায়ামের মাধ্যমে পেশি বৃদ্ধি করা উচিত, যাতে ফ্যাটের পরিবর্তে পেশি গঠন হয়।
- কিছু হরমোনাল সমস্যা ওজন বাড়ানোকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। চিকিৎসকের মাধ্যমে হরমোন পরীক্ষা করে প্রয়োজনে চিকিৎসা নিন।
- রেগুলারভাবে খাবার খাওয়া, পর্যাপ্ত পানি পান, এবং স্ট্রেস কমানোর জন্য যোগব্যায়াম বা মেডিটেশন করতে বলা যেতে পারে।
- কিছু লোকের জন্য মানসিক চাপ বা অ্যানোরেক্সিয়া একটি বড় সমস্যা হতে পারে। চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদ মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ নেওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন।
শেষ কথা
আশা করি আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে ক্লিয়ার করতে পেরেছি কি খেলে ৭ দিনে মোটা হওয়া যায়। তবে মনে রাখবেন যেই জিনিস খুব সহজে পাওয়া যায় সেটা সহজেই হারিয়ে যায়। তাই, নিজের স্বাস্থ্যের উপর নজর রেখে প্রয়োজন অনুযায়ী ওজন বাড়ানোর চেষ্টা করুন। এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রতিটি পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।
শেষ পাতার কমেন্ট পলিসি মেনে কমেন্ট করুন।
comment url