deepseek vs chatgpt কোনটা ভালো
আমরা সবাই অবগত আছি ChatGPT এর সাথে মার্কেটিংয়ে মেনেছে Deepseek নামের এক AI
কিন্তু, deepseek vs chatGPT কোনটা ভালো? কোনটি ব্যবহার করে সঠিক তথ্য বের করা
সম্ভব। এই সকল উত্তর বের করার চেষ্টা করার অভিজ্ঞতা নিয়েই আজকের আর্টিকেল।
Deepseek লঞ্চ হবার পর কিছুটা সময় নিলেও বর্তমানে ইন্টারনেট দুনিয়ায় এটি
ভাইরাল হয়ে গেছে। কিন্তু, কি এই Deepseek আর এটা কি সত্যিই ChatGPT এর মতো কাজ
করতে সক্ষম? চলুন একটু অনুসন্ধানের সাহায্যে বিস্তারিত দেখে আসি।
পেজ সূচিপত্রঃ
deepseek কি
DeepSeek একটি চীনা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা AI যা ২০২৩ সালে লিয়াং ওয়েনফেং
দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়। DeepSeek ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর
দেওয়া, ডেটা বিশ্লেষণ করা এবং সমস্যা সমাধানে সহায়তা করে। DeepSeek
কে ChatGPT-4 এর সাথে তুলনা করা যেতে পারে। ডিপসিকের প্রথম মডেল
DeepSeek-R1 প্রশিক্ষণের জন্য তুলনামূলকভাবে কম খরচে উন্নত করা হয়েছে। এই
মডেলটি প্রশিক্ষণে মাত্র ৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করে, যেখানে
জিপিটি-৪-এর জন্য প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছিল।
ডিপসিক তাদের প্রথম ফ্রি চ্যাটবট অ্যাপ চালু করে ২০২৫ সালের ১০ জানুয়ারি। যা
DeepSeek-R1 মডেলের উপর ভিত্তি করে তৈরি। অ্যাপটি মুক্তির পরপরই জনপ্রিয়তা
অর্জন করতে শুরু করে এবং ২৭ জানুয়ারির মধ্যে এটি অ্যাপ স্টোরের সবচেয়ে বেশি
ডাউনলোড করা ফ্রি অ্যাপ হয়ে ওঠে।
deepseek vs chatgpt কোনটার ফিচার বেশি
আজকের ডিজিটাল যুগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) গুরুত্ব দিন দিন বৃদ্ধি
পাচ্ছে। ChatGPT বিভিন্ন ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরী এবং বহুমুখী। নিচে
ChatGPT আপনাকে বিভিন্ন তথ্য প্রদান করবে ও বিশ্লেষণ করে দেবে, রচনা প্রবন্ধ বা কবিতা লেখারও অপশন রয়েছে, এর মাধ্যমে যেকোনো ভাষার অনুবাদ অথবা ভাবান্তর করা সম্ভব। এছাড়াও যেকোনো গণিতিক সমাধান, কোডিং ও প্রোগ্রামিং সহায়তা, পরীক্ষার প্রস্তুতিতে প্রশ্নত্তর দিয়ে পারে। গল্প বা চিত্রনাট্য লিখা, চাহিদামাফিক ছবি তৈরি করা, এবং আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবেও কাজ করতে পারে।
অপর দিকে DeepSeek বিভিন্ন ধরনের জটিল ও বুদ্ধিবৃত্তিক কাজ
সম্পাদন করতে সক্ষম। এটি ভাষা বিশ্লেষণ, তথ্য অনুসন্ধান, সমস্যা সমাধান
এবং সৃজনশীল লেখনী তৈরিতে বিশেষ পারদর্শী। DeepSeek ভাষাগত বিশ্লেষণ ও অনুবাদ করতে সক্ষম, তথ্য অনুসন্ধান ও বিশ্লেষণ করা বা কনটেন্ট তৈরি করা, প্রযুক্তিগত সহায়তা ও কোডিং বিষয়ে সহায়তা করে। গাণিতিক যে কোন সমস্যার সমাধান। ব্যক্তিগত সহায়তা ও পরিকল্পনা তৈরি করে দেওয়া, চিত্র বিশ্লেষণ ও চাহিদামতো ছবি তৈরি করতে পারে। এছাড়াও মানুষের সাথে পুরোপুরি মিশে গিয়ে কথোপকথন করতে পারে।
বিচার-বিশ্লেষণ করে বলতে গেলে ফিচার একই থাকলেও ChatGPT পুরাতন হওয়ায় তার ফিচার একটু বেশি থাকাটাই স্বাভাবিক। তবে Deepseek প্রথম অবস্থায় যেই পারফরম্যান্স প্রদান করে তা থেকে বোঝা যায় আগামীতে আরও আপডেট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
chatgpt দিয়ে কি কি করা যায়
ডিজিটাল যুগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) গুরুত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ChatGPT হলো এমন একটি শক্তিশালী AI, যা মানুষের ভাষা বোঝে, বিশ্লেষণ করে
এবং সৃজনশীলভাবে উত্তর প্রদান করতে পারে। এটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে অত্যন্ত
কার্যকরী। নিচে ChatGPT-এর কিছু উল্লেখযোগ্য ক্ষমতা তুলে ধরা হলো:
- তথ্য প্রদান ও বিশ্লেষণ: ChatGPT ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন বিষয়ের ওপর দ্রুত ও সঠিক তথ্য দিতে পারে। ইতিহাস, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, সাহিত্য, দর্শনসহ যেকোনো বিষয়ের উপর এটি বিশদ ব্যাখ্যা দিতে সক্ষম।
- রচনা, প্রবন্ধ ও কবিতা লেখা: শিক্ষার্থীদের জন্য ChatGPT একটি কার্যকরী টুল। এটি নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর রচনা, প্রবন্ধ ও কবিতা লিখতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যদি কেউ "প্রকৃতির সৌন্দর্য" নিয়ে একটি রচনা চান, তবে এটি সুন্দরভাবে সাজিয়ে তথ্যসমৃদ্ধ রচনা তৈরি করতে পারে।
- কন্টেন্ট রাইটিং ও ব্লগ পোস্ট লেখা: ডিজিটাল মার্কেটিং ও কন্টেন্ট রাইটিং-এর ক্ষেত্রে ChatGPT একটি দুর্দান্ত সহযোগী। এটি ব্লগ পোস্ট, সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট, বিজ্ঞাপনী লেখা ইত্যাদি তৈরি করতে পারে, যা SEO-বান্ধব এবং আকর্ষণীয় হয়।
- ভাষান্তর ও অনুবাদ: ChatGPT এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় অনুবাদ করতে পারে। বাংলা থেকে ইংরেজি, ইংরেজি থেকে ফরাসি, কিংবা অন্য যেকোনো ভাষার মধ্যে অনুবাদ করতে এটি দক্ষ।
- কোডিং সহায়তা ও প্রোগ্রামিং: প্রোগ্রামারদের জন্য এটি একটি শক্তিশালী সহায়ক টুল। Python, Java, JavaScript, C++, HTML, CSS ইত্যাদি ভাষায় কোড লিখতে, ডিবাগ করতে এবং ব্যাখ্যা দিতে পারে।
- গণিত ও যুক্তি সমস্যার সমাধান:ChatGPT গণিতের সমস্যার সমাধান করতে পারে, যেমন: অ্যালজেবরা, জ্যামিতি, ক্যালকুলাস এবং সংখ্যাতত্ত্ব। এটি ধাপে ধাপে সমাধানও দিতে পারে, যা শিক্ষার্থীদের জন্য সহায়ক।
- ব্যক্তিগত সহায়তা ও পরামর্শ: ব্যক্তিগত উন্নয়ন, ক্যারিয়ার পরামর্শ, স্বাস্থ্য টিপস, বই ও সিনেমার পরামর্শসহ নানা বিষয়ে এটি দিকনির্দেশনা দিতে পারে। যদিও এটি ডাক্তার বা বিশেষজ্ঞের বিকল্প নয়, তবে এটি বেশ উপকারী হতে পারে।
- প্রশ্নোত্তর ও পরীক্ষা প্রস্তুতি : শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশোনার সহায়ক হিসেবে ChatGPT ব্যবহার করতে পারে। এটি MCQ, সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর, টেক্সট ব্যাখ্যা এবং অন্যান্য শিক্ষামূলক উপাদান তৈরি করতে পারে।
- গল্প ও চিত্রনাট্য লেখা: ChatGPT কল্পনাপ্রবণ গল্প, রোমাঞ্চকর উপন্যাস, নাটক, সিনেমার চিত্রনাট্য এবং সংলাপ লিখতে পারে। এটি বিভিন্ন ধরণের প্লট সাজিয়ে কাহিনি তৈরি করতে পারদর্শী।
- চ্যাটবট ও ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করা: ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ওয়েবসাইটের জন্য এটি গ্রাহক সহায়তার চ্যাটবট হিসেবে কাজ করতে পারে, যা ২৪/৭ ব্যবহারকারীদের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে।
ChatGPT এবং Deepseek এর মধ্যে পার্থক্য কি
ChatGPT এবং DeepSeek-এর মধ্যে প্রধান পার্থক্যগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো:
- ডেভেলপার ও উদ্দেশ্য:
- ChatGPT: OpenAI দ্বারা তৈরি, সাধারণ উদ্দেশ্যে কথোপকথন, তথ্য প্রদান, ক্রিয়েটিভ রাইটিং, কোডিং সহায়তা ইত্যাদির জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
- DeepSeek: চীনা কোম্পানি DeepSeek Inc. দ্বারা তৈরি, এটি বিশেষ করে চীনা বাজার ও শিল্পের নির্দিষ্ট প্রয়োজনের উপর ফোকাস করে তৈরি করা হয়েছে।
- ভাষা ও সাংস্কৃতিক প্রাসঙ্গিকতা:
- ChatGPT: ইংরেজিতে সর্বাধিক শক্তিশালী, তবে বাংলা সহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক ভাষার প্রেক্ষাপটে প্রশিক্ষিত।
- DeepSeek: চীনা ভাষায় অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত, চীনা সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট, স্থানীয় ডেটা ও নীতিমালার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তবে বাংলা সহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক ভাষা বুঝতে পারে।
- প্রযুক্তিগত পার্থক্য:
- ChatGPT: GPT-৪/৩.৫ আর্কিটেকচার ব্যবহার করে, বৃহৎ ও বৈশ্বিক ডেটাসেটে প্রশিক্ষিত।
- DeepSeek: বিশেষভাবে ডোমেইন দক্ষতা রাখতে পারে, কম্পিউটেশনাল দক্ষতা বা ডোমেইন স্পেসিফিক অপ্টিমাইজেশনের দক্ষতা রয়েছে।
- ব্যবহারের ক্ষেত্র:
- ChatGPT: শিক্ষা, কন্টেন্ট ক্রিয়েশন, প্রযুক্তিগত সহায়তা, সাধারণ Q&A ইত্যাদি কাজের জন্য সেরা।
- DeepSeek: ফিনান্সিয়াল প্রেডিকশন, মেডিকেল ডায়াগনোসিস, গভর্নমেন্ট বা এন্টারপ্রাইজ সলিউশনের মতো বিশেষ কাজে পারদর্শী।
- প্রাপ্যতা ও লাইসেন্সিং:
- ChatGPT: OpenAI-এর ওয়েবসাইট, API, এবং Microsoft-এর পণ্যগুলিতে প্রকাশ্যে উপলব্ধ। উন্নত সেবার জন্য অর্থ প্রদান করতে হয়।
- DeepSeek: প্রথমে চীনা এন্টারপ্রাইজ, সরকারি সংস্থা বা নির্দিষ্ট শিল্পের জন্য সীমিত অ্যাক্সেসের মাধ্যমে সরবরাহ করা হলেও এখন সকলের জন্য ফ্রি করে দেয়া হয়েছে।
- নিয়মকানুন ও নিরাপত্তা:
- ChatGPT: OpenAI-এর নীতিমালা মেনে কন্টেন্ট ফিল্টারিং করে (যেমন সহিংসতা, ঘৃণামূলক বক্তব্য নিষিদ্ধ)।
- DeepSeek: চীনের সেন্সরশিপ নীতির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, রাজনৈতিক সংবেদনশীল বিষয় এড়িয়ে চলে।
- পারফরম্যান্স:
- ChatGPT: জেনারেল পারপাস টাস্কে উচ্চ দক্ষতা, তবে বিশেষায়িত ডোমেইনে সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে।
- DeepSeek: স্থানীয় ডেটা ও ডোমেইন স্পেসিফিক ট্রেনিংয়ের কারণে চীনের জন্য আরও নির্ভুল হতে পারে।
- আপডেট ও রোডম্যাপ:
- ChatGPT: নিয়মিত আপডেট (যেমন GPT-৪ টার্বো), ব্যবহারকারীর ফিডের ভিত্তিতে উন্নত।
- DeepSeek: চীনা টেক ইকোসিস্টেমের চাহিদা অনুযায়ী আপডেট হতে পারে।
Deepseek vs chatGPT আপনি কোনটি বেছে নেবেন
ChatGPT এবং Deepseek দুইটার ফিচার সম্পর্কে আমরা জেনেছি। এবং উভয়ের মধ্যে
পার্থক্যসমূহ আমরা জেনেছি। তাহলে এখন আপনি কোনটি বেছে নিবেন? সরাসরি এর উত্তর
দেওয়াটা একটু কঠিন। আগে থেকে আমরা জেনে গেছি যে দুইটা দুই রকম কাজের জন্য
তৈরি হয়েছে। chatgtp তৈরি হয়েছে সাধারণ উদ্দেশ্যে কথা প্রকাশন বিভিন্ন তথ্য
জানার জন্য ক্রিয়েটিভ রাইটিং কোডিং তৈরি বা অন্য যে কোন ডিজাইন তৈরি জন্য।
অন্যদিকে deepseek তৈরি হয়েছে চিনা বাজার কে বিশ্লেষণ করে।
আরো পড়ুনঃ গুগল ম্যাপের অজানা ফিচার
চীনারা সাধারণত নিজেদের প্রযুক্তি ব্যবহারে অভ্যস্ত তাই তারা Open AI এর তৈরি
ChatGPT ব্যবহার না করে নিজেরাই তৈরি করেছে Deepseek নামের ভাষা মডেল। দুইটার
কাজ কিছুটা একই রকম হইলেও এর মধ্যে রয়েছে অনেক তফাৎ তাই, চীনের বাজার
সম্পর্কে সাংস্কৃতি সম্পর্কে অথবা তিন সম্পর্কেও কোনো কাজের জন্য যদি কেউ এআই
ব্যবহার করতে চাই তাহলে অবশ্যই deepseek হবে বেস্ট।
তবে আপনি যদি পার্সোনাল কাজে, কন্টেনক্রিরেশনের জন্য অথবা ক্রিয়েটিভ কোন
কিছু লিখার জন্য ব্যবহার করতে চান তাহলে ChatGPT আপনার জন্য বেস্ট। কিন্তু
আপনি যদি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের কোন কাজ করতে চান অথবা মেডিকেল সংস্থা,
এন্টারপ্রাইজ সলিউশনের মত কাজ করতে চান তাহলে Deepseek ব্যবহার করতে পারেন।
AI কিভাবে সকল প্রশ্নের উত্তর জানে
AI সকল প্রশ্নের উত্তর জানে এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। ChatGPT বলেন অথবা Deepseek কোন AI সকল প্রশ্নের উত্তর জানে না। তাহলে আমাদের সকল প্রশ্নের উত্তর দেয় কীভাবে? সকল AI এই কয়েকটি পদক্ষেপে মানুষের উত্তর দিয়ে থাকে:
- প্রশিক্ষণ ডাটা: AI কে তৈরির সময় বিভিন্ন ধরনের বই, গবেষণা পত্র, ওয়েবসাইট ও অন্যান্য উৎসের ম্যাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এর ফলে এটি নানা বিষয়ক জ্ঞান রাখে। তবে প্রশিক্ষণ শেষে সেই গবেষণা পত্র বা ওয়েবসাইটে কোন আপডেট আসলে সেটা AI বুঝতে পারে না।
- ভাষাগত বিশ্লেষণ ও নির্দেশন সনাক্তকরণ: আমরা যখন AI কে কোন প্রশ্ন করি তখন তারা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে মানুষের লেখা বিশ্লেষণ করে এবং প্রশিক্ষণ ডাটার ব্যবহার করে একটি প্রশ্নের কয়েকটি উত্তর তৈরি করে এবং সবচেয়ে উপযুক্ত উত্তরটি আমাদেরকে প্রদান করে। তবে এই সমস্ত কাজ কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সম্পূর্ন করতে পারে।
- উপলব্ধ জ্ঞান ও যুক্তি প্রয়োগ: আপনি যদি এমন কোন প্রশ্ন করেন যা ইন্টারনেটে বা কোন ওয়েব সাইটে নেই তাহলে আপনার লেখা প্রতিটি শব্দকে বিশ্লেষণ করে প্রশিক্ষণ কৃত তথ্যের ব্যবহার করে যুক্তির পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার করে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করে।
- ইন্টারনেট এক্সেস: কিছু কিছু AI যেমন ChatGPT এর বর্তমান ভার্সন নির্দিষ্ট সময়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করে সর্বশেষ তথ্য সংগ্রহ করে সংরক্ষণ করে এবং তা পরবর্তীতে আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার কাজে ব্যবহার করে।
- ভুল উত্তর: এ আই যেহেতু সমস্ত প্রশ্নের উত্তর না জানার কারনে এটি মাঝে মাঝে ভুল উত্তর দিতে পারে তাই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যাচাই করার জন্য সম্পূর্ণভাবে AI নির্ভরশীল হওয়া বিপদজনক।
AI এর দুর্বলতা
AI মডেলগুলো অনেক কাজে পারদর্শী হইলেও এর ভেতর অনেক দূর্বলতা বা কমতি রয়েছে সেগুলোর মধ্যে কয়েকটি নিচে দেওয়া হলো:
- ডেটা নির্ভরতা: AI মডেলগুলি প্রচুর পরিমাণে ডেটার উপর নির্ভরশীল। যদি ডেটা পক্ষপাতদুষ্ট বা অসম্পূর্ণ হয়, AI-এর ফলাফলও ত্রুটিপূর্ণ হতে পারে।
- পক্ষপাত (Bias): AI মডেলগুলি প্রশিক্ষণ ডেটাতে বিদ্যমান পক্ষপাত শিখতে পারে, যা বৈষম্যমূলক বা অন্যায্য সিদ্ধান্তের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
- ব্যাখ্যার অভাব: অনেক AI মডেল, বিশেষত ডিপ লার্নিং মডেল, "ব্ল্যাক বক্স" হিসাবে কাজ করে, অর্থাৎ তাদের সিদ্ধান্তের পেছনের যুক্তি ব্যাখ্যা করা কঠিন।
- নৈতিক ও সামাজিক প্রভাব: AI প্রযুক্তির অপব্যবহার, যেমন গোপনীয়তা লঙ্ঘন বা নজরদারি, নৈতিক ও সামাজিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
- সৃজনশীলতার সীমাবদ্ধতা: AI নির্দিষ্ট ডেটা এবং নিয়মের ভিত্তিতে কাজ করে, তাই এটি মানুষের মতো সত্যিকারের সৃজনশীলতা বা আবেগ প্রদর্শন করতে পারে না।
- নিরাপত্তা ঝুঁকি: AI সিস্টেমগুলি সাইবার আক্রমণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে, যা গুরুত্বপূর্ণ ডেটা বা সিস্টেমের নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলতে পারে।
শেষ পাতার কমেন্ট পলিসি মেনে কমেন্ট করুন।
comment url