মেনোপজের পর নারীদের হরমোন থেরাপি

মেনোপজের পর নারীদের হরমোন থেরাপি নারী স্বাস্থ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকরী পদ্ধতি। মেনোপজের সময় নারীদের হরমোনের পরিবর্তনের ফলে বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। সেগুলো পূরণ করার জন্য হরমোন থেরাপির বিকল্প নেই।
মেনোপজের-পর-নারীদের-হরমোন-থেরাপি
মেনোপজ একটি জৈবিক প্রক্রিয়া। প্রতিটি নারীর বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে মাসিক ঋতুচক্র স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায়। আর প্রাকৃতিকভাবে ঋতুচক্র বন্ধ হওয়ার এই প্রক্রিয়াকে মেনোপজ বলা হয়।

পেজ সূচিপত্রঃ

মেনোপজের পর নারীদের হরমোন থেরাপি

মেনোপজের পর নারীদের হরমোন থেরাপি একটি গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা পদ্ধতি। যা হরমোনের স্বাভাবিক ঘাটতি পূরণ করে। হরমোন থেরাপি মূলত ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন হরমোন সরবরাহের মাধ্যমে মেনোপজ পরবর্তী সময়ে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করে। এই থেরাপি হঠাৎ গরম লাগা, ঘুমের সমস্যা, মেজাজের পরিবর্তন এবং হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়ার মত সমস্যাগুলো দূর করার একটি কার্যকরী প্রক্রিয়া। হরমোন থেরাপি যৌন অস্বস্তি, মূত্রনালীর সমস্যা এবং ত্বকের শুষ্কতা কমাতেও বিশেষ কার্যকরী। একই সঙ্গে এটি অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে কার্যকর যা হাড়ভাঙ্গা রোধ করে।

কীভাবে বুঝবেন মেনোপজ হয়েছে

মেনোপজ সাধারণত ৪৫-৫৫ বছর বয়সে ঘটে। তবে কিছু ক্ষেত্রে এর আগে বা পরেও ঘটতে পারে। এটি চিহ্নিত করার কিছু লক্ষণ ও উপসর্গ রয়েছে, যা শরীরের হরমোনগত পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত। মেনোপজ হয়েছে তা বোঝার উপায়গুলো হলো:
  • মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া: টানা ১০-১২ মাস ধরে মাসিক বন্ধ থাকা মেনোপজের প্রধান লক্ষণ।
  • অনিয়মিত মাসিক: মেনোপজের আগে মাসিক অনিয়মিত হয়ে পড়ে। মাসিকের ফাঁক কমে বা বেড়ে যেতে পারে।
  • হট ফ্ল্যাশ ও ঘাম: শরীরে হঠাৎ তাপ অনুভব করা এবং ঘাম হওয়া মেনোপজের লক্ষণ।
  • ঘুমের সমস্যা: রাতে ঘুম আসতে সমস্যা বা হঠাৎ ঘুম ভেঙে যাওয়া হতে পারে।
  • মেজাজ পরিবর্তন: মেনোপজের সময় হতাশা, উদ্বেগ বা মন খারাপের প্রবণতা বেড়ে যেতে পারে।
  • যৌন অস্বস্তি: যৌনাঙ্গে শুষ্কতা বা যৌন অস্বস্তি অনুভব হতে পারে, যা ইস্ট্রোজেন হরমোনের ঘাটতির কারণে হয়।
  • শারীরিক পরিবর্তন: ওজন বৃদ্ধি, চুল ঝড়া বা ত্বক শুষ্ক হওয়ার মতো পরিবর্তন দেখা দিতে পারে।
  • হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া: হাড় ভঙ্গুর হয়ে পড়া বা অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
যদি এসব লক্ষণ দেখা দেয়, তবে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রক্ত পরীক্ষা বা হরমোন লেভেল চেক করে নিশ্চিত হওয়া যায়।

শরীর ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর মেনোপজের প্রভাব

মেনোপজ নারী জীবনে একটি স্বাভাবিক পরিবর্তন হওয়ার পরেও এটি নারীর শরীর ও মনের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। এ সময়ে শরীরের হরমোনের বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটে যা বিভিন্ন উপসর্গ ও দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে। শারীরিক প্রভাব এর মধ্যে রয়েছে শরীরে হঠাৎ অতিরিক্ত গরম অনুভব করা ও প্রচন্ড ঘাম হওয়া, হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে, যৌন জীবনে অস্তুস্তি সৃষ্টি করতে পারে, পেটের চর্বি বাড়ার ফলে ওজন বৃদ্ধি হতে পারে এবং ত্বক শুষ্ক হয়ে বয়সের দাগ পড়ে একই সাথে চুল পড়ার সমস্যা বৃদ্ধি পায়।

এছাড়াও মেনোপজের সময় নারীর মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। যেমন হতাশা অথবা সহজেই রেগে যাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়, রাতে ঘুম ভেঙ্গে গিয়ে মানসিক চাপ সৃষ্টি করে, কোন কিছুর উপর মনোযোগ দেয়া যায় না, সকল কিছু খুব সহজেই ভুলে যায় এবং শরীরের পরিবর্তনের কারণে অনেক সময় নারীরা আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। এছাড়াও মেনোপজের প্রভাবে বিভিন্নভাবে নারীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।

মেনোপজের পরের চিকিৎসা

মেনোপজের পরে লক্ষণগুলো নিরাময়ের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি প্রয়োগ করে শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নির্ভর করে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। নিচে কয়েকটি চিকিৎসার মূল বিষয়বস্তু উল্লেখ করা হলো:
  • ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট: মেনোপজের পর হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই বেশি বেশি ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিৎ। যেমন পনির, দুধ, দই ইত্যাদি। একই সাথে প্রতিদিন সকালে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রোদে থাকার চেষ্টা করুন।
  • জীবনযাত্রার পরিবর্তন: স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করলে মেনোপজ পরবর্তী সময় সুস্থ থাকা সহজ হয়ে যায় তাই নিয়মিত ওজন ভিত্তিক ব্যায়াম করা দরকার কারণ এতে হাড় মজবুত করে এবং মুড ভালো হয়। প্রতিদিন পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে এবং অতিরিক্ত চর্বি এড়িয়ে চলতে হবে, পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করতে হবে।
  • মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন: মেনোপজের পর মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ নজর রেখে নিয়মিত যোগব্যায়াম এবং প্রয়োজনে কাউন্সিলিং সেবা নেওয়া উচিত।
  • প্রাকৃতিক চিকিৎসা: এ সময় শরীর ও মনকে সুস্থ রাখতে হারবাল চা এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন এগুলো প্রাকৃতিক চিকিৎসা হিসেবে বেশ কার্যকরী।
  • হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি: মেনোপজের পর নারীদের হরমোন থেরাপি হরমোন রিপ্লেসমেন্টের সবচেয়ে কার্যকরী একটি পদ্ধতি। তাই প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী থেরাপি গ্রহণ করা যেতে পারে।

হরমোন থেরাপি সম্পর্কে ভুল ধারণা

মেনোপজের পর নারীদের হরমোন থেরাপি নিয়ে সমাজে মানুষের মধ্যে বিভিন্ন ভুল ধারণা রয়েছে নিচে কিছু সাধারন ভুল ধারণা এবং সেগুলোর সঠিক ব্যাখ্যা তুলে ধরা হলো:
  • সব নারীর জন্য বিপজ্জনক: অনেকেই মনে করেন হরমোন থেরাপি সবার জন্যই খুবই বিপজ্জন কিন্তু কথাটি সত্য নয়। কিছু নারীর জন্য বিপদজনক হলেও এটি সঠিক রোগীর জন্য নিরাপদ ও খুবই উপযোগী। হরমোন থেরাপির মাধ্যমে অতিরিক্ত গরম অনুভুতি, রাতের ঘাম, হাড় ক্ষয় এবং মানসিক অস্থিরতা মোকাবেলা করা সম্ভব।
  • ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়: গবেষণার মাধ্যমে হরমোন থেরাপি এবং ক্যান্সারের মধ্যে সামান্য মিল পাওয়া গেছে। তবে ব্যবহারের সময়কাল এবং ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যের উপর বিশেষ নজরদারি করে চিকিৎসকের পরামর্শ মতে থেরাপি গ্রহণ করে স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
  • বয়স বেশি হলে থেরাপি কাজ করে না: হরমোন থেরাপি সাধারণত মেনোপজের প্রথম কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কার্যকর। তবে পরবর্তীতে থেরাপি দিতে চাইলে বয়স এবং স্বাস্থ্য পরিস্থিতি বিবেচনা করে থেরাপির ধরন নির্ধারণ করতে হবে।
  • থেরাপি বন্ধ করলে উপসর্গ শুরু হয়: হরমোন থেরাপি বন্ধ করার পর কিছু কিছু নারীর ভেতর উপসর্গ ফিরে আসতে পারে। তবে এটি সবার ক্ষেত্রে ঘটে না। চিকিৎসক সঠিক পদ্ধতিতে থেরাপি ধিরে ধিরে বন্ধ করলে উপসর্গ ফিরে আসার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

কার জন্য হরমোন থেরাপি উপযুক্ত

মেনোপজের পর নারীদের হরমোন থেরাপি তাদের জন্য উপযুক্ত যাদের মেনোপজের কারণে অতিরিক্ত গরম অনুভূতি হয় এবং রাতে ঘাম হয়‌। যদি যৌনাঙ্গে অস্বস্তি বা চুলকানির সমস্যা দেখা দেয় তাহলেও থেরাপি উপকার করতে পারে। এছাড়াও হাড় ক্ষয়ের ঝুঁকিতে থাকা নারীর জন্য এটি বেশ কার্যকরী। এর পাশাপাশি যাদের মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা আছে যেমন: হতাশা, সামান্য কারণে রেগে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য হরমোন থেরাপি উপযুক্ত চিকিৎসা হতে পারে। তবে যাদের স্তন ক্যান্সার, রক্ত জমাট বাধার সমস্যা, হৃদরোগ বা স্ট্রোকের উচ্চ ঝুকি, অথবা লিভারের গুরুতর সমস্যা আছে তাদের হরমোন থেরাপি গ্রহণ না করাই উত্তম।

হরমোন থেরাপির ধরন ও পদ্ধতি

মেনোপজের পর যারা মেনোপজের বিভিন্ন উপসর্গে ভোগেন যেমন রাতে ঘাম হওয়া, শরীর গরম হয়ে যাওয়া, শারীরিক অস্বস্তি এবং হাড়ের দুর্বলতা ইত্যাদি সমস্যায় ভুগছেন সেই সকল নারীর জন্য হরমোন থেরাপি খুবই উপকারী। নিচে হরমোন থেরাপির ধরন ও পদ্ধতি উল্লেখ করা হলো:
হরমোন থেরাপির ধরন
  • এ্যাসট্রোজেন অনলি থেরাপি: যাদের জরায়ু অপশরন করা হয়েছে তাদের জন্য এটি উপযোগী।
  • কম্বাইন্ড হরমোন থেরাপি: এটি জরায়ুর অস্বাভাবিক কোষ বৃদ্ধি রোধ করে। কারণ এখানে এস্ট্রোজেনের পাশাপাশি প্রোজেস্টেরন দেওয়া হয়।
  • লোকালাইজড হরমোন থেরাপি: যৌনাঙ্গের শুষ্কতা বা সংক্রামনের সমস্যা থাকলে স্থায়ীভাবে সমাধানের জন্য রিং বা ট্যাবলেট ব্যবহার করা হয়। 
  • বায়ো আইডেন্টিকাল হরমোন থেরাপি: এটি প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি হরমোন যা শরীরের নিজস্ব হরমোনের সাথে বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ।
থেরাপির পদ্ধতি
  • ট্যাবলেট: এটি খাওয়ার ট্যাবলেট হওয়ায় সবচেয়ে সহজ ও প্রচলিত পদ্ধতি। তবে এটি লিভারে বেশি প্রভাব ফেলতে পারে।
  • প্যাচ: ত্বকে লাগানোর স্টিকার প্যাচ। যা রক্তচাপ বাড়ানোর ঝুঁকি কমায় এবং লিভার বাইপাস করে।
  • জেল বা ক্রিম: এটি ক্রিম হওয়ায় নিয়মিত ত্বকে সরাসরি ব্যবহার করতে হয়।
  • ইনজেকশন: চিকিৎসকের পরামর্শে নির্দিষ্ট সময়ে ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ করা যায়।
  • ইমপ্ল্যান্টস: ত্বকের নিচে ছোট ইমপ্ল্যান্ট স্থাপন করা হয় যা ধীরে ধীরে হরমোন ছাড়ে এবং সমস্যা সমাধান করে।

মেনোপজের পর হরমোনের পরিবর্তন

মেনোপজ হলো প্রাকৃতিক জৈবিক প্রক্রিয়া যা প্রজনন ক্ষমতার সমাপ্তি নির্দেশ করে। মেনোপজের পর নারীদের শরীরে হরমোনের বেশ পরিবর্তন ঘটে। মেনোপজের পর প্রধান হরমোনগত পরিবর্তনগুলো হল:
  • ইস্ট্রোজেন মাত্রা হ্রাস: ডিম্বাশয় থেকে স্ট্রোজেনের উৎপাদন প্রায় বন্ধ হয়ে যায় ফলে শরীর গরম হয়ে যাওয়, রাত্রিবেলায় ঘাম হওয়া, যৌনাঙ্গে শুষ্কতা এবং মেজাজে পরিবর্তন দেখা যায়।
  • প্রজেস্টেরনের উৎপাদন বন্ধ: ডিম্বাশয়ের সঙ্গে ডিম্বাণু মুক্তির প্রক্রিয়া বন্ধ হওয়ায় প্রজেস্টেরন উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় এ কারণে জরায়ু লাইনিংয়ের কার্যক্রমে প্রভাব ফেলে।
  • এন্ড্রোজেন এবং টেস্টোস্টেরনের মাত্রা হ্রাস: যৌন ড্রাইভ এবং শক্তির মাত্রা ধীরে ধীরে কমে যায় এবং ক্লান্তি ও যৌন ইচ্ছা কমে যেতে পারে।
  • FSH ও LH বৃদ্ধি: ডিম্বাশয়ের কার্যক্রম পুনরায় সক্রিয় করার চেষ্টা করার জন্য ফোলিকল স্টিমুলেটিং হরমোন এবং লুটিনাইজিং হরমোন এর মাত্রা বেড়ে যায়।

মেনোপজ কালের স্বাস্থ্য টিপস

মেনোপজ প্রাকৃতিক জৈবিক প্রক্রিয়া হওয়ায় নারীর মাসিক ঋতুচক্র স্থায়ীভাবে বন্ধ হওয়ার কারণে শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই মেনোপজের পর নারীদের হরমোন থেরাপির পাশাপাশি সুস্থ থাকার জন্য কিছু কার্যকরী স্বাস্থ্য টিপস অনুসরণ করা উচিৎ।
  • প্রচুর পরিমাণে ফল শাকসবজি, সস্যজাতীয় খাবার এবং প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়া উচিৎ। এক কথায় সুষম খাদ্যভ্যাস বজায় রাখুন।
  • হাড়ের শক্তি বজায় রাখতে নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম ও যোগব্যায়াম করুন।
  • প্রতিদিন কমপক্ষে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানোর অভ্যাস করুন।
  • রাগ, হতাশা সহ মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে বন্ধু ও পরিবারের সাথে কথা বলুন।
  • শরীর গরম হওয়া বা ঘাম হওয়া এড়াতে হালকা এবং শীতল পোশাক পড়ুন একইসাথে গরম পানি এড়িয়ে চলুন।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন। এতে ত্বক ও শরীর সুস্থ থাকে।
  • ধূমপান, অ্যালকোহল সহ মেনোপজের উপসর্গ বাড়াতে পারে এমন সকল কিছু এরিয়ে চলুন।
  • প্রয়োজনে নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন এবং পরামর্শ মতে চিকিৎসা গ্রহণ করুন।

শেষ কথা

মেনোপজ নারীর জীবনের একটি জৈবিক প্রক্রিয়া। যা স্বাধারনত ৪৫-৫৫ বছর বয়সে ঘটে। এই সময় নারীর হরমোনের পরিবর্তনের ফলে তারা শারীরিক ও মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। মেনোপজের পর নারীদের হরমোন থেরাপি গ্রহণ করার মাধ্যমে সকল প্রকার দুর্বলতা কাটিয়ে তোলা সম্ভব। তবে কিছু নারীর জন্য এটি ক্ষতিকর হতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে স্বাস্থ্য টিপস অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। আজকের আর্টিকেলে মেনোপজের পর হরমোন থেরাপি নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করি আজকের বিষয়টি পরিষ্কারভাবে বোঝাতে পেরেছি।
পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কোনো কমেন্ট করা হয় নি
কমেন্ট করতে ক্লিক করুন

শেষ পাতার কমেন্ট পলিসি মেনে কমেন্ট করুন।

comment url