মেনোপজ কত বছর বয়সে হয়
মেনোপজ কত বছর বয়সে হয় এটি জানা প্রতিটি নারীর জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মেনোপজ শুধুমাত্র একটি জৈবিক পরিবর্তন নয় বরং এটি নারীদের জীবনে শারীরিক ও মানসিক দিক থেকেও গভীরভাবে প্রভাব ফেলতে পারে।
মেনোপজের বয়স, এটি কিভাবে একজন নারীর জীবনের উপর প্রভাব ফেলতে পারে, এর লক্ষণ
সমূহ এবং মেনোপজের সময় শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া সহ ইত্যাদি
বিষয়ে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে।
পেজ সূচিপত্রঃ
মেনোপজ কত বছর বয়স হয়
মেনোপজ নারীর জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রাকৃতিক পর্যায়। মেনোপজ কত বছর
বয়সে হয় এটি নির্দিষ্ট ভাবে বলা সম্ভব না। বিভিন্ন কারণে বয়সের তারতম্যের উপর
নির্ভর করে একেকজন নারীর ক্ষেত্রে একেক বয়সে আসতে পারে। জীবন ধারার বিভিন্ন
পরিবর্তনের ফলে মেনোপজের বয়স কম বেশি হতে পারে। যেমন স্বাস্থ্য এবং ডায়োড,
ধূমপান বা অ্যালকোহলের প্রভাব এমনকি বংশগত কারণেও মেনোপজের বয়সের তারতম্য হতে
পারে। তবে সাধারণত একজন মেয়ের বয়স যখন ৪৫ থেকে ৫৫ বছরে পৌছায় তখন মেনোপজ
ঘটার সম্ভবনা বেশি থাকে।
আরো পড়ুনঃ মধুর উপকারিতা কি
মেনোপজ তখনই হয় যখন একজন নারীর ডিম্বাশয় প্রাকৃতিকভাবে ডিম্বাণু তৈরি করা বন্ধ
করে দেয় এবং হরমোন উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হাড়ে কমিয়ে দেয়। এটি নারীদের মাসিক
ঋতুচক্র স্থায়ীভাবে বন্ধ হওয়ার মাধ্যম হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। কিছু নারীর
ক্ষেত্রে ৪০ বছরের আগেও মেনোপজ হয়ে থাকে। যাকে প্রিম্যাচিউর মেনোপজ বলা হয়। যা
বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণ হতে পারে। মেনোপজের সময় বিভিন্ন
হরমোনের বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটে তাই এই সময়ে নারীর শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের
দেখা দিতে পারে।
মেনোপজের শারীরিক লক্ষণসমূহ
মেনোপজের সময় হরমোনের তারতম্যের কারণে শরীরের বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটে। নিচে
মেনোপজের গুরুত্বপূর্ণ কিছু শারীরিক লক্ষণগুলো তুলে ধরা হলো:
- ঋতুস্রাবের অনিয়মিত চক্র: রক্তক্ষরণ হালকা থেকে ভারী হতে পারে, কিছু ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ১-২ দিন স্থায়ী হতে পারে, দীর্ঘদিন যাবৎ মাসিক না হয়ে হঠাৎ রক্তক্ষরণ শুরু হতে পারে।
- তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া: হঠাৎ করে শরীরের তাপমাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে গিয়ে মুখ, গলা বা বুকে বেশি গরম অনুভূত হতে পারে।
- রাতে ঘাম হওয়া: ঘুমানোর সময় শরীর অতিরিক্ত ঘেমে যেতে পারে এতে ঘুমেরও ব্যাঘাত ঘটে।
- যৌনাঙ্গে শুষ্কতা: যৌনাঙ্গের অস্বস্তি বা শুষ্কতা বাড়ে এবং ব্যথা অনুভূত হতে পারে।
- মূত্রজনিত সমস্যা: ঘন ঘন মূত্রত্যাগের প্রয়োজন দেখা দেয়।
- ওজন বৃদ্ধি: মেনোপজ এর সময় শরীরে বেশি চর্বি জমে ওজন বৃদ্ধি করতে পারে। বিশেষ করে পেটের নিচের দিকে।
- ত্বক এবং চুলের পরিবর্তন: চুল পাতলা হয়ে যায় কিছু কিছু নারীর ক্ষেত্রে চুল ঝরার পরিমাণ বাড়তে পারে এবং ত্বক শুষ্ক হয়ে বয়সের ছাপ পড়ে যায়।
- জয়েন্টে ব্যথা: মনোপজের পরবর্তী সময়ে শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথা হয় এবং কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়।
মেনোপজের মানসিক লক্ষণসমূহ
একজন নারীর মেনোপজের সময় শরীরের বিভিন্ন পরিবর্তনের পাশাপাশি মানসিকভাবেও
বিভিন্ন লক্ষণ দেখা যায়। যেগুলোর মধ্যে অন্যতম কয়েকটি লক্ষণ নিচে আলোচনা করা
হলো:
- মেজাজ পরিবর্তন: হরমোনের তারতম্যের কারণে হঠাৎ করে রেগে যাওয়া, উদ্বেগ অনুভব করা ইত্যাদি দেখা যায়।
- ডিপ্রেশন এবং উদাসীনতা: হতাশ বা বিষন্নতা অনুভূতি হয় এবং কোন কাজের আগ্রহ পাওয়া যায় না।
- উদ্বেগ: অকারণেই অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বা আতঙ্কগ্রস্ত অনুভূত হতে পারে।
- স্মৃতিশক্তি এবং মনোযোগ: এসময় স্মৃতিশক্তি অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়ে। যেকোনো কিছু খুব সহজেই ভুলে যায় এবং কোন কিছুর প্রতি মনোযোগ দেওয়া যায় না।
- ঘুমের সমস্যা: রাতের বেলা সহজে ঘুম আসে না এবং হঠাৎ করে ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- ক্লান্তি: সারাক্ষণ ক্লান্তি অনুভূত হয় এবং শক্তি হ্রাস পায়।
মেনোপজের কারণ কি
মেনোপজ একটি স্বাভাবিক জৈবিক প্রক্রিয়া হওয়ায় বয়স বাড়ার সাথে সাথে
প্রাকৃতিক ভাবে ডিম্বানুর মজুদ ফুরিয়ে যায় এবং ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরনের
মত হরমোন গুলির অভাবে মাসিক ঋতুচক্র বন্ধ হয়ে যায়। সার্জারির মাধ্যমে
ডিম্বাশয় সরিয়ে ফেলা হলেও তৎক্ষণিক ভাবে মেনোপজ শুরু হয় এবং কিছু ক্ষেত্রে
ক্যান্সারের চিকিৎসার কার্যকারিতা দীর্ঘস্থায়ী করতে এই সার্জারি করা
হয়। এছাড়াও বেশ কিছু অটোইমিউন রোগের প্রভাবের কারণে ডিম্বাশয়ের
কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয় এবং স্বাভাবিক বয়সের তুলনায় অনেক আগেই অনেক নারীর
মেনোপজ ঘটতে পারে।
মেনোপজ সম্পর্কে ভুল ধারণা
মেনোপজ কত বছর বয়সে হয় এই সম্পর্কে ধারনা না থাকলেও মেনোপজ সম্পর্কে সমাজে
প্রচুর পরিমাণে ভুল ধারণা প্রচলিত আছে যা মহিলাদের স্বাস্থ্যের উপর ইতিবাচক
প্রভাব ফেলে শারীরিক ও মানসিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। নিচে কয়েকটি
ভুল ধারণা ও সেগুলোর সঠিক চিন্তাধারা আলোচনা করা হলো:
- বয়সের শেষ সীমা: সমাজের অনেকেই মনে করে মেনোপজ হলে একজন নারী বুড়ি হয়ে যায়। কিন্তু বিষয়টি তেমন না মেনোপজ মূলত একটি প্রাকৃতিক জৈবিক প্রক্রিয়া। এটি বয়সের শেষ নয় বরং জীবনের নতুন একটি অধ্যায়ের শুরু।
- মেনোপজ একটি রোগ: অনেকের মনে হতে পারে এটি একটি চিকিৎসা যোগ্য রোগ। কিন্তু সত্য হলো এটি কোন রোগ নয় বরং একজন নারীর প্রজনন ক্ষমতা শেষের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এ সময় কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে যা সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
- মেনোপজের পর যৌন জীবন শেষ: সমাজের ভুল ধারণার শেষ নেই। অনেকেই মেনোপজ বলতে নারীর যৌন চাহিদা বা সক্ষমতা হারানোকে বোঝে। হরমোনের কিছু পরিবর্তনের ফলে কিছুটা প্রভাব ফেলতে পারে তবে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ এবং সঠিক জীবন যাপন করার মাধ্যমে পুনরায় যৌন জীবন উপভোগ করা সম্ভব।
- হাড় দুর্বল হওয়া: মেনোপজের পর হাড়ের ঘনত্ব কিছুটা কমে যেতে পারে তবে হাড় ভেঙ্গে যাওয়া অনিবার্য এমনটা নয়। সঠিক ডায়েট, ব্যায়াম ও চিকিৎসার মাধ্যমে হাড়কে মজবুত করা সম্ভব।
আরো পড়ুনঃ মাথায় টাক পড়ার কারণ জানুন
- মানসিক সমস্যা: হরমোন পরিবর্তনের কারণে মেজাজের কিছুটা পরিবর্তন হয়ে থাকে তবে এটি মানসিক অসুস্থতার কারণে নয়। পরিবার ও সামাজিক ভারসাম্য রক্ষা করে প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসা এসময় মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। তাই মেনোপজ মানেই নারীর মানসিক ভারসাম্য হারানো এমনটা ভাবা যাবে না।
- মেনোপজ স্বাস্থ্যের পতন ঘটায়: আরো একটি ভুল ধারণা হলো মেনোপজের পর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি কাটানো সম্ভব না। এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। কারণ ব্যায়াম, পুষ্টিকর খাদ্য এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা অবলম্বন করে মেনোপজের পরবর্তী সময়েও একজন নারী সম্পূর্ণ রূপে সুস্থ জীবন যাপন করতে পারেন।
- মেনোপজ শুধুই নারীদের সমস্যা: মেনোপজ নারীর সমস্যা হওয়ার ফলে সবাই মনে করে এই সমস্যা শুধুমাত্র নিজেকেই সমাধান করতে হবে। কিন্তু না, এই সময়ে পরিবার, আশেপাশের মানুষ এবং কাছের মানুষের সহযোগিতা করা প্রয়োজন। তাদের সমর্থন নারীর মানসিক সুস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
এলাকাভিত্তিক মেনোপজের বয়সের তারতম্য
বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে গিয়ে প্রশ্ন করবেন মেনোপজ কত বছর বয়সে হয় সকলের
উত্তর একই হবে মেনোপজ সাধারণত ৪৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সের মধ্যে হয়ে থাকে। তবে
ভৌগোলিক অবস্থান, জীবন যাত্রা, স্বাস্থ্য এবং জীনগত বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভর
করে বিভিন্ন দেশে এটি কিছুটা ভিন্ন হতে পারে। নিচে কয়েকটি দেশের গড়
মেনোপজের বয়সের সারাংশ দেওয়া হলো:
- উন্নত দেশ: যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো উন্নত দেশগুলোতে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা এবং সঠিক পুষ্টির ব্যবস্থা থাকার কারণে মেনোপজের গড় বয়স তুলনামূলকভাবে বেশি হয়ে থাকে। এ সকল দেশে মেনোপজের গড় বয়স ৫০-৫১ বছর।
- উন্নয়নশীল দেশ: পুষ্টিহীনতা এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় সীমাবদ্ধতা থাকার কারণে উন্নয়নশীল দেশ গুলিতে মেনোপজ কিছুটা আগেই হয়ে থাকে। ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মেনোপজের গড় বয়স ৪৬-৪৭ বছর। এবং আফ্রিকার কিছু উন্নয়নশীল দেশে মেনোপজের গড় বয়স ৪৪-৪৫ বছর।
- অন্যান্য দেশসমূহ: চীন ও জাপানে মেনোপজের গড় বয়স ৪৯-৫০ বছর। উত্তর কোরিয়ার ৫০ বছর। মেক্সিকো ও ব্রাজিলের ৪৮ থেকে ৫০ বছর এবং নরওয়ে, সুইডেন ও ফিনল্যান্ডে গড় বয়স ৫১-৫২ বছর।
কম বয়সে মেনোপজ হয় যে সব কারণে
মেনোপজ কত বছর বয়সে হয়? সাধারণত ৪৫-৫৫বছর বয়সে কিন্তু, বিভিন্ন নারীর ৪০ বছর
বষয় হওয়ার আগেও মেনোপজ হয়ে থাকে অর্থাৎ স্থায়ীভাবে মাসিক ঋতুচক্র বন্ধ হয়ে
যায়। একে প্রিম্যাচিউর মেনোপজ বলা হয়। এর প্রধান কারণ গুলো নিম্নে দেওয়া
হলো:
- জেনিটিক কারণ: পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কম বয়সে মেনোপজ হওয়ার ইতিহাস থাকলে সেখান থেকে পরিবারের অন্য সদস্যদেরও কম বয়সে মেনোপজ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- রোগের কারণে: অটোইমিউন জাতীয় রোগের কারণে ডিম্বানু উৎপাদনকারী কোষে আক্রমণ করে। ফলে স্থায়ীভাবে মাসিক ঋতুচক্র বন্ধ হওয়ার মাধ্যমে মেনোপজ হতে পারে।
- মেডিকেল ট্রিটমেন্ট: ডিম্বাশয় অপসারণের জন্য সার্জারি করার ফলে এবং বিভিন্ন চিকিৎসার ফলে ডিম্বাণু উৎপাদনে ক্ষতিগ্রস্ত হলে কম বয়সে মেনোপজ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- ভাইরাসের কারণে: HIV জাতীয় কিছু সংক্রামক ভাইরাসে আক্রমণের ফলে ডিম্বাশয় তার কার্যকারিতা হারায়।
- খারাপ জীবনযাত্রা: অত্যধিক মানসিক চাপ বা অপুষ্টি এবং ধূমপান গ্রহণের ফলে প্রাকৃতিক ভাবেই ১-২ বছর আগে মেনোপজ ঘটাতে পারে।
কম বয়সে মেনোপজের ঝুঁকি
কম বয়সে মেনোপজ একটি স্বাস্থ্যগত সমস্যা যা শারীরিক মানসিক ও প্রজনন ক্ষমতার
প্রভাব ফেলতে পারে। সাধারণত নারীদের মেনোপজ কত বছর বয়সে হয় ৪৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সে।
তাই ৪০ বছরের আগে মেনোপজ হলে সেটিকে প্রিম্যাচিউর মেনোপজ বলা
হয়। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, জিনগত কারণ, অটোইমিউন রোগ, রেডিয়েশন
থেরাপি বা ডিম্বাশয় অপসারণের মতো চিকিৎসা সহ আরো বিভিন্ন কারণে কম বয়সে মেনোপজ
হতে পারে। এর ফলে হৃদরোগ, অস্টিওপোরোসিস, হতাশা এবং প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস সহ এই
ধরনের আরও গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে।
জীবনধারায় পরিবর্তন, ধূমপান বর্জন, পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ এবং নিয়মিত শারীরিক
ব্যায়াম করার মাধ্যমে সকল ধরনের রোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো যায়। তাছাড়া হরমোন
রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি প্রয়োগ করে হরমোনের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা যেতে পারে।
সময়মতো সচেতনতা ও চিকিৎসা গ্রহণ করলে কম বয়সে মেনোপজের নেতিবাচক প্রভাব
অনেকাংশে নিমন্ত্রণ করা সম্ভব। তাই, প্রতিটি নারীর উচিৎ আগে থেকেই
প্রিম্যাচিউর মেনোপজ এর কারণ সম্পর্কে অবগত হয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
মেনোপজের বয়স নিয়ে সচেতনতা
মেনোপজের বয়স নিয়ে সচেতনতা নারীস্বাস্থ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক, যা প্রজনন
ক্ষমতা ছাড়িয়ে তাদের সামগ্রিক শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে গভীরভাবে
সম্পর্কিত। প্রাকৃতিকভাবে মেনোপজ কত বছর বয়সে হয় ? ৪৫-৫৫ বছর বয়সে, কিন্তু যদি
এটি অস্বাভাবিকভাবে ৪০ বছরের আগে ঘটে, তবে তা শারীরিক ও মানসিক সমস্যার কারণ হতে
পারে, যেমন হাড় ক্ষয়, হৃদরোগের ঝুঁকি, এবং মানসিক অবসাদ। অনেক নারী এই বিষয়ে
সচেতন না থাকায় লক্ষণগুলোকে অবহেলা করেন, যা পরবর্তীতে গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করতে
পারে। তাই শরীরের পরিবর্তনকে গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার মাধ্যমে
মেনোপজের সঠিক বয়স বজায় রাখা ও এর প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
শেষ কথা
আশা করি আজকে আর্টিকেলের মাধ্যমে মেনোপজ কত বছর বয়সে হয় সেই বিষয়টি ক্লিয়ার
করতে পেরেছি। এই বিষয়টি সম্পর্কে জানা প্রতিটি নারীর জন্যই খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
জীবনধারা, জিনগত বৈশিষ্ট্য এবং স্বাস্থ্যগত অবস্থার অপর নির্ভর করে মেনোপজের
সময়ের কম-বেশি হতে পারে। মেনোপজ একটি স্বাভাবিক শরীরবৃত্তি ও জৈবিক প্রক্রিয়া।
এর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য মানসিক ও শারীরিক প্রস্তুতি আবশ্যক। জীবনযাত্রার
মান ঠিক রাখার জন্য এ সময়ে সঠিক পুষ্টি গ্রহণ, ডায়েট, প্রয়োজনীয় ব্যায়াম এবং
ইতিবাচক মনোভাবের গুরুত্ব অপরিসীম।
শেষ পাতার কমেন্ট পলিসি মেনে কমেন্ট করুন।
comment url