ব্রয়লার মুরগি পালন পদ্ধতি
বর্তমান সময়ে ব্রয়লার মুরগি পালন বাংলাদেশের অন্যতম লাভজনক কৃষিভিত্তিক উদ্যোগ।
ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা পূরণ এবং পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে মুরগির মাংসের
চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। দ্রুত ওজন বৃদ্ধি এবং স্বল্প সময়ে উৎপাদন উপযোগী হওয়ার
কারণে ব্রয়লার মুরগি পালন একটি আকর্ষণীয় ব্যবসা হয়ে উঠেছে।
এই আর্টিকেলে আমরা ব্রয়লার মুরগি পালনের প্রাথমিক ধাপ, খামার ব্যবস্থাপনা,
খাদ্য ও পুষ্টি সরবরাহ, রোগ প্রতিরোধ এবং লাভজনক উৎপাদনের কৌশল নিয়ে আলোচনা
করব। এটি নতুন উদ্যোক্তা এবং অভিজ্ঞ খামারিদের জন্য সমানভাবে সহায়ক হবে।
পেজ সূচিপত্রঃ
ব্রয়লার মুরগি পালন পদ্ধতি
বয়লার মুরগি পালন বর্তমান সময়ে একটি লাভজনক ও কার্যকর খামারি উদ্যোগ হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এটি সহজলভ্য প্রযুক্তি ও কম খরচে শুরু করা যায় বলে গ্রামের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে শহুরে উদ্যোক্তাদের মধ্যেও ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। বয়লার মুরগি দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং স্বল্প সময়ে বাজারজাত করা যায়, যা অর্থনৈতিক লাভজনকতার অন্যতম প্রধান কারণ। এটি পরিবারের পুষ্টি চাহিদা পূরণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বয়লার মুরগির মাংস প্রোটিনের উৎকৃষ্ট উৎস, যা শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের পুষ্টি ঘাটতি পূরণে সহায়ক। নিজের খামারে উৎপাদিত মুরগি খেলে তাজা ও নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা মেলে।
তাছাড়া, সঠিক ব্যবস্থাপনা ও বাজার গবেষণার মাধ্যমে এটি থেকে আরও বেশি আয় করা সম্ভব। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং মুরগির খাদ্য সরবরাহের খরচ কমিয়ে উৎপাদন ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তাই, বয়লার মুরগি পালন একদিকে যেমন আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ করে দেয়, অন্যদিকে পরিবারের পুষ্টির চাহিদা পূরণে কার্যকর ভূমিকা রাখে। আজকে আর্টিকেলে ব্রয়লার মুরগি পালনের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে লেখা বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
ব্রয়লার মুরগি পালন খরচ
ব্রয়লার মুরগি পালনের জন্য খরচ বেশ কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। মনে
করি আমরা ৫০০টি ব্রয়লার মুরগি পালন করতে চাচ্ছি। তাহলে খরচ হবে:
- খাঁচা তৈরি: নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য প্রথমেই ব্রয়লার মুরগি রাখার জন্য খাঁচা বা শেড নির্মাণ করতে হবে আপনি কি ধরনের সরঞ্জাম দিয়ে খাঁচা তৈরি করবেন তার ওপর খরচ নির্ভর করবে। তবে নরমাল ভাবে ৫০০ ব্রয়লার মুরগির জন্য ১০,০০০ থেকে ১৫,০০০ টাকা খরচ হবে।
- ফিড ট্রে এবং পানির পাত্র: নতুন উদ্যোক্তাদের মুরগিকে খাবার দেওয়ার জন্য ফিড ট্রে এবং পানি দেওয়ার জন্য পানির পাত্র কিনতে হবে। এখানে প্রায় ৫,০০০ টাকা খরচ হবে।
- মুরগির বাচ্চা ক্রয়: বয়লার মুরগি রাখার জন্য খাঁচা এবং খাবার দেওয়ার জন্য পাত্র কেনার পর এবার মুরগির বাচ্চা ক্রয় করতে হবে। সাধারণত প্রতিটি বাচ্চার দাম ৫০ থেকে ৬০ টাকা হয়ে থাকে। ৫০০ বাচ্চার জন্য খরচ হবে ২৫,০০০- ৩০,০০০ টাকা।
- খাবারের খরচ: ৫০০ টি ব্রয়লার মুরগি ১মাসে খাবার খায় ১,৫০০ কেজি থেকে ১,৬০০ কেজি। প্রতি কেজি ৬০ টাকা হইলে (কমবেশি হইতে পারে) ৯০,০০০ থেকে ৯৫,০০০ টাকা।
- টিকা দেওয়ার খরচ: বয়েলের মুরগির স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য টিকা দেওয়ার প্রয়োজন হবে এখানেও আনুমানিক ৫,০০০ টাকা খরচ হবে।
এভাবে ৫০০ মুরগি পালনের জন্য প্রথমবার খরচ হবে ১,৩৫,০০০ থেকে ১,৫০,০০০
টাকা। তবে পরবর্তীতে যেহেতু আর নতুন করে খাঁচা তৈরি করতে হচ্ছে না এবং খাবার
পাত্র, পানির পাত্র কেনার প্রয়োজনও হচ্ছে না তাই পরবর্তী
সময়ে ব্রয়লার মুরগি পালন করতে চাইলে খরচ কম হবে।
৫০০ ব্রয়লার মুরগি পালনে লাভ
প্রথমবারের মতো যদি কেউ বয়লার মুরগি পালন করতে চান তাহলে ৫০০ বয়লার মুরগি
পালন করে তেমন কোন লাভ হবে না। কারণ প্রথমে খাঁচা তৈরি ফিড ও পানির
পাত্র সহ ইত্যাদির জন্য এককালীন এক্সট্রা খরচ করতে হয় যা পরবর্তীতে বয়লার
মুরগি পালন করতে চাইলে করা লাগে না। প্রথমবারের এককালীন খরচের হিসাব বাদ
দিয়ে লাভের হিসাব করা উচিত। নিচে একটি তালিকা দেওয়া হল।
- ৫০০ বয়লার মুরগির বাচ্চা ক্রয় খরচ= ২৫,০০০ টাকা
- খাবারের খরচ = ৯০,০০০ টাকা (±২কেজি ওজন হবে)
- টিকা ও অন্যান্য খরচ = ৫০০০ টাকা
- তাহলে টোটাল খরচ হয়= ১২০,০০০ টাকা।
খরচের হিসাব শেষ হইল এবার আসা যাক বিক্রি করে লাভ কত হয়?
- প্রতিটি বয়লারের ওজন ±২কেজি
- প্রতি কেজির (বর্তমান দাম) ১৮০ টাকা
- তাহলে বিক্রয় মূল্য দ্বারায় ১৮০,০০০ টাকা।
- খরচ হইলো ১২০,০০০ টাকা
- বিক্রয় করলাম ১৮০,০০০ টাকা
- তাহলে প্রফিট ৬০,০০০ টাকা।
তাহলে আজকে আমাদের হিসাব অনুযায়ী ৫০০জি বয়লার মুরগি পালন করে প্রফিট হবে
৬০,০০০ টাকা। তবে বয়লারের বাচ্চা খাবার সহ অন্যান্য সকল কিছুর দাম কম-বেশি
হওয়ার কারণে এই প্রফিট কম বেশি হয়ে থাকে।
ব্রয়লার মুরগির ৩০ দিনের ঔষধের তালিকা
ব্রয়লার মুরগির সঠিক যত্ন নেওয়ার জন্য একটি ওষুধের তালিকা প্রস্তুত করা
খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিচে ৫০০টি ব্রয়লার মুরগির ৩০ দিনের জন্য প্রয়োজনীয়
ওষুধ ও সাপ্লিমেন্টের একটি সাধারণ তালিকা দেওয়া হলো। তবে মনে রাখবেন, এটি
একটি সাধারণ নির্দেশিকা, বিশেষজ্ঞ পশু চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ
প্রয়োগ করুন।
- দিন ১-৭: শুরুর যত্ন
- ভিটামিন ও ইলেক্ট্রোলাইট পাউডার: শরীরের ইমিউনিটি শক্তিশালী করার জন্য। দিনে ১ বার পানিতে মিশিয়ে দিন।
- অ্যান্টিবায়োটিক: পশু চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ইনফেকশন প্রতিরোধের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে পারেন।
- প্রোবায়োটিক ও প্রি-বায়োটিক: হজমের উন্নতির জন্য। খাবারের সাথে মিশিয়ে দিনে ১ বার খাওয়াতে হবে।
- দিন ৮-১৪: শক্তি ও বৃদ্ধি
- ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি পাউডার: হাড় শক্তিশালী করার জন্য। সপ্তাহে ৩ বার পানিতে মিশিয়ে দিতে হবে।
- কোকসিডিওস্ট্যাট: পশু চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কোকসিডিওসিস প্রতিরোধের জন্য এটি ব্যবহার করতে পারেন।
- লিভার টনিক: সপ্তাহে ২ দিন পানির সাথে মিশিয়ে দিলে লিভারের কার্যক্ষমতা উন্নত করে।
- দিন ১৫-২১: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
- অ্যান্টিবায়োটিক (যেমন: টাইলোসিন): চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী শ্বাসতন্ত্রের ইনফেকশন প্রতিরোধে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার জরুরি।
- মাল্টিভিটামিন: পুষ্টি সরবরাহের জন্য দিনে ১ বার পানির সাথে ডিওয়ার্মিং মেডিসিন: পশু চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী একবার ব্যবহার করা উচিৎ।
- দিন ২২-৩০: শেষ পর্যায়ের যত্ন
- অ্যান্টি-স্ট্রেস পাউডার: পরিবহন বা পরিবেশগত স্ট্রেস কমানোর জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী অ্যান্টি-স্ট্রেস পাউডার ব্যবহার করতে হবে।
- ইমিউন বুস্টার: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও বাড়ানোর জন্য সপ্তাহে ৩ বার পানির সাথে মিশিয়ে দিন।
- ফিড এনজাইম পাউডার: খাবার হজম উন্নত করার জন্য প্রতিদিন খাবারের সাথে ফিড এনজাইম খাওয়ানো যেতে পারে।
ব্রয়লার মুরগির ওজন বৃদ্ধির চার্ট
ব্রয়লার মুরগির ওজন বৃদ্ধির একটি সাধারণ চার্ট নিচে দেওয়া হলো। এই চার্টটি
গড়ে সাধারণ খাদ্য এবং সঠিক যত্নের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে। তবে এটি সময়,
খাদ্য, আবহাওয়া এবং অন্যান্য পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে ভিন্ন হতে পারে।
বয়স | ওজন (গ্রাম) | ওজল (কেজি) |
---|---|---|
১ দিন | ৫০ | ০.০৫ |
২ দিন | ৭৫ | ০.০৭ |
৩ দিন | ১০০ | ০.১ |
৪ দিন | ১৩০ | ০.১৩ |
৫ দিন | ১৬০ | ০.৬ |
৬ দিন | ২০০ | ০.২ |
৭ দিন | ২৪০ | ০.৪ |
৮ দিন | ২৮০ | ০.২৮ |
৯ দিন | ৩২০ | ০.৩২ |
১০ দিন | ৩৭০ | ০.৩৭ |
১১ দিন | ৪২০ | ০.৪২ |
১২ দিন | ৪৭০ | ০.৪৭ |
১৩ দিন | ৫৩০ | ০.৫৩ |
১৪ দিন | ৫৮০ | ০.৫৮ |
১৫ দিন | ৬৫০ | ০.৬৫ |
১৬ দিন | ৭২০ | ০.৭২ |
১৭ দিন | ৮০০ | ০.৮ |
১৮ দিন | ৮৬০ | ০.৮৬ |
১৯ দিন | ৯৫০ | ০.৯৫ |
২০ দিন | ১০৬০ | ১.০৬ |
২১ দিন | ১১৬০ | ১.১৬ |
২২ দিন | ১২৬০ | ১.২৬ |
২৩ দিন | ১৩৬০ | ১.৩৬ |
২৪ দিন | ১৪৫৫ | ১.৪৫ |
২৫ দিন | ১৫৬০ | ১.৫৬ |
২৬ দিন | ১৬৬০ | ১.৬৬ |
২৭ দিন | ১৭৬০ | ১.৭৬ |
২৮ দিন | ১৮৬০ | ১.৮৬ |
২৯ দিন | ১৯৬০ | ১.৯৬ |
৩০ দিন | ২১০০ | ২.১ |
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বয়লার মুরগি পালনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক, যা সঠিকভাবে পরিচালনা না করলে পরিবেশ দূষণ এবং রোগবালাইয়ের ঝুঁকি বাড়তে পারে। মুরগির বিষ্ঠা, অব্যবহৃত খাদ্য এবং অন্যান্য বর্জ্য সঠিকভাবে সংগ্রহ ও পুনর্ব্যবহার করা প্রয়োজন। মুরগির বিষ্ঠা থেকে জৈব সার তৈরি করে তা কৃষিকাজে ব্যবহার করা যেতে পারে, যা পরিবেশবান্ধব এবং লাভজনক। এছাড়া, নির্ধারিত স্থানে বর্জ্য নিষ্পত্তি এবং নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমে দুর্গন্ধ ও পোকামাকড়ের উপদ্রব কমানো সম্ভব। এ ধরনের কার্যক্রম শুধু পরিবেশ রক্ষা করে না, খামারের স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখতেও সহায়ক। সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বাড়ানো এবং খামারকে টেকসই করে তোলা সম্ভব।
ব্রয়লার মুরগি পালনের টিপস
ব্রয়লার মুরগি পালনে সফলতা নিশ্চিত করতে নিচে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস দেওয়া হলো:
- সঠিক জাত নির্বাচন: ভালো মানের ব্রয়লার বাচ্চা কিনুন যা রোগমুক্ত এবং দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
- উপযুক্ত পরিবেশ: মুরগির ঘরে পর্যাপ্ত আলো, বাতাস চলাচল, এবং ঘর সবসময় পরিষ্কার ও শুকনো রাখুন।
- তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ: বাচ্চার জন্য প্রথম সপ্তাহে ৩২-৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা নিশ্চিত করুন এবং ধীরে ধীরে কমান।
- উন্নত মানের খাদ্য: প্রোটিন, ভিটামিন, এবং খনিজ সমৃদ্ধ খাবার দিন। প্রথম ১০ দিনের মধ্যে প্রি-স্টার্টার ফিড এবং পরে স্টার্টার ও ফিনিশার ফিড দিন।
- পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ: সবসময় মুরগির জন্য পরিষ্কার এবং ঠাণ্ডা পানি নিশ্চিত করুন।
- ভ্যাকসিনেশন: নিয়মিত এবং সঠিকভাবে মুরগির ভ্যাকসিন প্রদান করুন (ম্যারেক্স, ND, IB, Gumboro)।
- ঘর পরিষ্কার রাখুন: মুরগির ঘর নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করুন এবং বিষাক্ত পদার্থ থেকে মুক্ত রাখুন।
- বাচ্চার জন্য বেডিং উপাদান ব্যবহার: ঘরে শুকনো খড় বা কাঠের গুঁড়া বিছিয়ে দিন যা শুষ্ক এবং নরম হবে।
- পর্যাপ্ত স্থান নিশ্চিত করুন: প্রতি বাচ্চার জন্য কমপক্ষে ১ বর্গফুট জায়গা রাখুন।
- ঠাণ্ডা এবং গরম নিয়ন্ত্রণ: অতিরিক্ত ঠাণ্ডা বা গরম যাতে না হয় তা নিশ্চিত করুন।
- ভিড় কমান: ঘরে অতিরিক্ত মুরগি রাখবেন না, কারণ এটি রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
- আলো এবং অন্ধকারের ব্যালান্স: দিনে ২৩ ঘণ্টা আলো এবং ১ ঘণ্টা অন্ধকার রাখুন, যাতে তারা পর্যাপ্ত খাবার গ্রহণ করতে পারে।
- ফিডার এবং ড্রিঙ্কারের যথাযথ ব্যবহার: ফিডার ও ড্রিঙ্কার পর্যাপ্ত পরিমাণে রাখুন এবং সেগুলো সবসময় পরিষ্কার রাখুন।
- রোগ প্রতিরোধ: যেকোনো অসুস্থ মুরগিকে দ্রুত আলাদা করে চিকিৎসা দিন।
- অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার: বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করবেন না।
- রাতের পরিচর্যা: রাতেও মুরগির ঘরে আলো এবং পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা রাখুন।
- পর্যবেক্ষণ করুন:মুরগির খাদ্যগ্রহণ, ওজন বৃদ্ধি, এবং স্বাস্থ্যের নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করুন।
- পানির PH পরীক্ষা: পানির গুণমান পরীক্ষা করুন এবং প্রয়োজনে পিএইচ নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিন।
- বর্জ্য ব্যবস্থাপনা: মুরগির বিষ্ঠা নিয়মিত পরিষ্কার করুন এবং দূষণ থেকে মুক্ত রাখুন।
- পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ: মুরগির ঘর পোকামাকড় ও ইঁদুরমুক্ত রাখুন।
- ভালো মানের লিটার ব্যবহার: মুরগির জন্য শুকনো এবং ধুলোবিহীন লিটার ব্যবহার করুন।
- পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করুন: প্রয়োজনে খাওয়ার পানিতে ভিটামিন ও মিনারেল মিশিয়ে দিন।
- ওজন বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণ: প্রতিদিন মুরগির ওজন পরীক্ষা করে বৃদ্ধির গতি বুঝুন।
- রোগ সনাক্ত এবং চিকিৎসা: যেমন কক্সিডিওসিস, Gumboro, নিউক্যাসল রোগ দ্রুত সনাক্ত এবং চিকিৎসা করুন।
- বিশেষজ্ঞের পরামর্শ: যেকোনো সমস্যা দেখা দিলে পশুচিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
শেষ কথা
পারিবারিক খামার থেকে বাস্তব অভিজ্ঞতা নিয়ে সেই অভিজ্ঞতার আলোকে আজকের আর্টিকেলে বয়লার মুরগি পালন নিয়ে যাবতীয় খরচ থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু আলোচনা করার চেষ্টা করেছি আবহাওয়া ও পরিবেশের উপর নির্ভর করে খরচ কম বেশি হতে পারে। আর সবশেষে একটাই কথা সঠিক যত্ন এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে ব্রয়লার মুরগি পালনে সফলতা অর্জন সম্ভব।
শেষ পাতার কমেন্ট পলিসি মেনে কমেন্ট করুন।
comment url