আমার জীবনের লক্ষ্য ॥ তোমার জীবনের লক্ষ্য কী ॥ জীবনের লক্ষ্য

আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে টাইটেলে একই কথা বার বার লিখেছি বলে কেন? লিখেছি কারণ, আজকে একটু অন্য রকম বিষয় নিয়ে কথা বলবো। জীবনের প্রয়োজনে একাডেমিক পড়াশোনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একাডেমিক পড়াশোনা বিভিন্ন ক্লাসে আমাদেরকে বাংলা রচনা লিখতে হয়। আজকে এই রচনা লিখার কিছু নিয়মাবলী এবং "আমার জীবনের লক্ষ্য" এই বিষয়ে এঅটি রচনা লিখে দেখাবো। রচনাটি পরিক্ষায় বিভিন্ন নামে আসতে পারে যেমন আমার জীবনের লক্ষ্য, তোমার জীবনের লক্ষ্য, আবার অনেক সময় জীবনের লক্ষ্য নামেও আসতে পারে। যেভাবেই আসুক রচনার বিষয়বস্তু একই থাকবে।

জীবনের লক্ষ্য রচনা লিখার সময় মনে রাখতে হবে জীবনের লক্ষ্য হিসেবে এমন একটি বিষয়/পেশা নির্বাচন করবা যেই পাশা সম্পর্কে তোমার মোটামুটি ধারণা আছে। যদি এমন হয় তুমি পাইলট হওয়ার স্বপ্ন দেখে সেই বিষয়কে জীবনের লক্ষ্য বানিয়ে রচনা লিখছো তাহলে প্রথমদিকে শুরু করতে পারলেও রাচনার কয়েকটি প্যারা লিখার পর লিখার মতো আর কোন কিছুই পাইবা না তাই অবশ্যই সেই বিষয়টির দিকে নজর রেখেই জীবনের লক্ষ্য রচনাটি লিখতে শুরু করবা।

পোস্ট সূচিপত্রঃ

ভুমিকা

প্রতিটি সচেতন মানুষের মতো আমার জীবনেরও একটি লক্ষ রয়েছে। লক্ষ হীন মানুষ বৈঠা হীন নৌকার মতো তার নির্দিষ্ট গন্তব্যে কখনোই পৌছাতে পারবে না। জীবনের এই ঢেউয়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে চলতে সঠিক গন্তব্যে পৌঁছাতে জীবনের নির্দিষ্ট একটি লক্ষ্য স্থির করতে হবে। আমার জীবনের লক্ষ্য ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ করে সফলতা অর্জন করা।

জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করার সঠিক সময়

জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং চ্যালেঞ্জিং প্রক্রিয়া। এটি আমাদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে দিশা ও উদ্দেশ্য প্রদান করে, যা আমাদেরকে পথ দেখায়। অনেকের মতে লক্ষ নির্ধারণের সঠিক সময় ছাত্র জীবন। কারণ ছাত্র জীবন থেকেই আমাদের জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করে সেই অনুযায়ী পড়ালেখা করা এবং এগিয়ে যাওয়া উচিৎ। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় ছাত্র জীবনে আমরা যেই লক্ষ্য নির্ধারণ করি পরবর্তীতে সেই লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হয় না। কারণ ছাত্র জীবন জ্ঞান অর্জনের সময় সেই সময়কে কাজে লাগিয়ে প্রতিটা বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করা উচিত এবং যেই বিষয় নিয়ে আমার বেশি আগ্রহ সেই বিষয়ে পরবর্তীকালে জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করে এগানো উচিত বলে আমি মনে করি।

আমি কখন জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি

ছাত্র জীবন থেকেই নিয়ম নীতির বেড়াজালে বন্দী থাকতে আমার পছন্দ না। যখন কোন ডাক্তারকে দেখতাম সবাই তাদেরকে সম্মান করে তখন মনে হতো বড় হয়ে আমি ডাক্তার হব। ইঞ্জিনিয়ারদের দেখলেও একই অনুভূতি হইতো সরকারি চাকরিজীবীদের চাহিদা আরেকটু উপরে। তবে সবকিছুর পরে একটি কথাই মনে হতো ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার অথবা সরকারি চাকরি যেটাই করি না কেন মানুষের তৈরি নির্দিষ্ট বেড়াজালে বন্দী থাকতে হবে, যা আমার মোটেও পছন্দ না। মোটা দাগে দেখতে গেলে জীবনের লক্ষ্য নিয়ে আমি অনিশ্চিত ছিলাম।

দশম শ্রেণীর পরীক্ষা শেষে পলিটেকনিক ভর্তি হওয়ার আগ মুহূর্তে প্রায় এক বছর ছুটি এই সময়ে নতুন একটি বিষয়ের সাথে পরিচিত হয় সেটি হল ফ্রিল্যান্সিং বা মুক্ত পেশা। মুক্ত পেশা সেটা আবার কি? সেই বিষয়ে জানতে শুরু করি। এবং কিছুদিনের মধ্যেই ফ্রিল্যান্সিং আমার পছন্দের পেশা হয়ে ওঠে এবং আমার জীবনের লক্ষ্য হিসাবে ফ্রিল্যান্সিংকে নির্ধারণ করে সেই বিষয়ে ধারণা নিতে শুরু করি। এবং সেই বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের জন্য পলিটেকনিকে কম্পিউটার সাইন্স নিয়ে পড়াশোনা শুরু করি। অর্থাৎ বলা যায় মাধ্যমিক পরীক্ষার পর দীর্ঘমেয়াদি ছুটির ভেতর আমার জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি।

দেশে ফ্রিল্যান্সিং এর গুরুত্ব

আমার জীবনের লক্ষ্য হিসেবে তো ফ্রিল্যান্সিংকে নির্ধারণ করলাম কিন্তু এই পেশার প্রয়োজনীয়তা কতটুকু? ফ্রিল্যান্সিং থেকে কি আদৌ কোন আয়-রোজগার হয়? দেশের অর্থনীতিতে কোনভাবে কি ফ্রিল্যান্সিং প্রভাব ফেলে? উত্তর হ্যাঁ! বর্তমানে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের প্রতিটা দেশে এর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
ঘরে বসে উন্নত বিশ্বে কাজ করার মাধ্যমে দেশের ডলার আনার কারণে দেশের অর্থনীতিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর থেকে বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বহু দেশ প্রচুর পরিমাণে অর্থ উপাদান করে আসছে। এবং ফ্রিল্যান্সিং আয়-রোজগারের দিক দিয়ে প্রথম সারির একটি পেশা। ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে দেশের অর্থ উপার্জন পাশাপাশি দক্ষ জনশক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এই পেশা দেশ ও জাতির জন্য খুবই উপকারী।

লক্ষ্য পূরণের ভিত্তি স্থাপনা

ছোটবেলা থেকে বিভিন্ন পেশার উপর মোটামুটি ধারণা থাকলেও ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে কোন আইডিয়াই ছিল না। মাধ্যমিক পরীক্ষার পর ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে ধারণা লাভ করে সেই বিষয়ে জানতে পারলাম ফ্রিল্যান্সিং মূলত কোন পেশা না এটি একটি পেশার ধরন। যার ভিতরে রয়েছে শত শত চাকরি/পেশা‌। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ করতে চাইলে অবশ্যই নিজেকে নির্দিষ্ট কোন একটি স্কিল অর্জন করার মাধ্যমে সেই স্কিলের সঠিক ব্যবহার করে ইনকাম করতে হবে। আমি কোন স্কিলের ওপর কতটুকু দক্ষতা অর্জন করতে পারব তার ওপর নির্ভর করে আমার আয়-রোজগার।

এগুলো জানার পর বিভিন্ন স্কিলের উপর স্টাডি করতে শুরু করি এবং আর্টিকেল রাইটিং নিয়ে কাজ শুরু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। আর্টিকেল রাইটিং এর সাথে সম্পৃক্ত এসইও মার্কেটিং সহ আরো বেশ কিছু বিষয়ে সমান গুরুত্ব দিতে হচ্ছে।

লক্ষ্য পূরণে করনীয়

জীবনের লক্ষ্য যেটাই হোক না কেন সে বিষয়ে সঠিক ধারণা থাকতে হবে সে বিষয় নিয়ে পুরোপুরি স্টাডি করতে হবে এবং কোন কোন জায়গায় আমার কমতি আছে সেগুলো নির্বাচন করে সেগুলো পুরনে সোচ্চার হতে হবে। এই বিষয়টি মাথায় রেখে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর নিয়ে স্টাডি শুরু করি এবং আমার ঘাড়তি গুলো পূরণে চেষ্টা করছি। কোন স্কিল এখনো পর্যন্ত সঠিকভাবে রপ্ত করতে পারি নাই। তবু আশা না হারিয়ে নিজের উপর ভরসা করে টিকে থেকে, ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর থেকে সফলতা অর্জনের আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি।

দিন রাত এক করে, বিভিন্ন কোর্স করার মাধ্যমে, youtube, google সহ অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে সেগুলো বাস্তবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি। লক্ষ্যে পৌঁছানোর আশায় এখন আর বন্ধুদেরকে তেমন সময় দিতে পারি না, পরিচিত সেই খেলার মাঠেও আর যাওয়া হয় না। ঘরের এক কোণে কম্পিউটার/ল্যাপটপ নিয়ে বসে থাকি অথবা ট্রেনিং সেন্টারের কম্পিউটারের সামনে বসে নতুন কিছু জানতে চেষ্টা চালাই। কোন একজায়গায় পড়েছিলাম "ধৈর্যের ফল মিষ্টি হয়" সেই আশাতেই আজো চেষ্টা করে যাচ্ছি।

লক্ষ্য পূরণে পরিবারের সাপোর্ট

আমার মতে প্রতিটি সন্তানকে শিক্ষিত করার জন্য জাপানে ব্যাবহৃত পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিত। সে কোন বিষয়ে বেশি আগ্রহী সে বিষয়টি পরিবারকে নির্বাচন করতে হবে। এবং সে বিষয়েই উন্নত শিক্ষার সুযোগ করে দেওয়া উচিৎ। সন্তান যদি ভুল পথে পদার্পণ করে সে পথ থেকে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব শিক্ষক এবং পিতা-মাতার। সন্তানের শিক্ষার বিষয়ে পরিবার যদি সচেতন থাকে তাহলে সন্তান সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারবে। কিন্তু বাংলাদেশে জাপানের সেই সিস্টেম চালু নাই বিধায় অনেকাংশেই সেটি সম্ভব হয় না।

একজন মানুষ তার লক্ষ্য পূরণের জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয় তখন যখন সে তার পরিবারের সাপোর্ট পায়। পরিবারের সাপোর্ট না পেলে লক্ষ্যে পৌঁছানো খুবই কষ্টসাধ্য। আমি ছোট্ট একটি কৃষি নির্ভর গ্রামে বাস করি। পরিবারের আর্থিক অবস্থাও খুব একটা ভালো না। তারপরেও পরিবার থেকে যথেষ্ট সাপোর্ট পাচ্ছি। ছোটবেলা থেকেই পরিবারের সাধ্যমতে প্রায় প্রতিটি ইচ্ছাই পূরণ করতে পেরেছি। লক্ষ্য পূরণের এই জার্নিতে পরিবারের সাপোর্ট ধুধু মরুভূমিতে ছায়ার মত অবদান রাখছে। বিশেষ করে আমার বাবা, যার কাছে কোন ইচ্ছা প্রকাশ করলে না শব্দটা বলতে শুনিনি।

তবে গ্রামে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের তেমন কেউ না থাকায় স্কিল রপ্ত করার বিষয়ে সরাসরি কারো সাপোর্ট আশা করাটাও বিলাসিতা। যা কিছু অনলাইন থেকেই শিখতে হয়। অথবা তাবিজ বিক্রেতা ট্রেনিং সেন্টার থেকে। সেগুলো মাধ্যম থেকে শিখেই ছোট্ট একটি ব্লগার ওয়েবসাইট দার করিয়ে সেখানে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ব্লগিং এবং ই-বুক নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছি।

ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে পর্যালোচনা

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে সুবিধার পাশাপাশি কিছু অসুবিধা রয়েছে। যেগুলো ফ্রিল্যান্সাররা ধাপে ধাপে ফেস করে থাকে।

  • স্কিল রপ্ত করা
ফ্রিল্যান্সিংকে জীবনের লক্ষ্য হিসেবে নির্বাচন করলে অবশ্যই নির্দিষ্ট একটি কাজ সঠিক ভাবে জানতে হবে। সেই কাজ শেখার সময় বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে। তার মধ্যে অন্যতম হলো সঠিক রিসোর্স খুঁজে না পাওয়া। অর্থাৎ, কোথায় থেকে কাজ শিখবো? বর্তমানে অধিকাংশ আইটি ট্রেনিং সেন্টার বা ফ্রিল্যান্সিং ট্রেনিং সেন্টার গুলো তাবিজ বিক্রেতার মত আচরণ করে থাকে। অনেকে তো এমনও আছে যারা নিজেরা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ করতে পারে না বিধায় আইটি সেন্টার খুলে স্টুডেন্টদেরকে ফ্রিল্যান্সিং শিখানোর নামে ব্যবসা করছে। তাই, সঠিক রিসোর্স খুঁজে পাওয়া খুবই কষ্টসাধ্য।
  • ক্লাইন্ট খুঁজে পাওয়া
অনেক রিসোর্স ঘাটাঘাটির পর, অনেক কষ্টে একটি স্কিল রপ্ত করেছেন এখন ফেস করবেন ২য় সমস্যা। কাজ শিখেছেন এখন কার কাজ করে দেওয়ার মাধ্যমে টাকা উপার্জন করবেন অবশ্যই কোন একজন ক্লায়েন্টের, সেই ক্লাইন্টকে খুঁজতেই আপনাকে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট করতে হবে এবং জব প্রপোজাল পাঠাইতে হবে। কিন্তু একই কাজ তো বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশ থেকে ফ্রিল্যান্সাররা করছে। আপনি তো নতুন তাদেরকে বাদ দিয়ে আপনাকে কাজ দিবে কেন? নতুনত্বের এই গন্ধ দূর করার যুদ্ধে অধিকাংশ ফ্রিল্যান্সাররা ফ্রিল্যান্সিং ছেড়ে অন্য পেশায় নাম লেখাচ্ছে। তবে যারা ধৈর্য ধরে টিকে থাকে তারাই হয় সফল ফ্রিল্যান্সার।
  • ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা
কাজ করছেন, টাকা পাচ্ছেন, দিনকাল ভালোই চলছে। কিন্তু সারা জীবন এভাবেই চলবে? আজ কাজ করছেন টাকা পাচ্ছেন কাল যদি কাজ ছেড়ে দেন আর টাকা পাবেন না। ভবিষ্যতে কোন আপডেট হওয়ার চিন্তা করতে চাইলে আরো একটি সমস্যার সম্মুখীন হবেন। এই সমস্যার সমাধানের জন্য অনেক ফ্রিল্যান্সাররা ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক এজেন্সি খোলার মাধ্যমে দীর্ঘস্থায়ী আয়ের উৎস তৈরি করে।
  • এছাড়াও নতুন নতুন ক্লায়েন্টদের সাথে কথা বলে কাজ হাসিল করতে বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় ফ্রিল্যান্সারদের।

উপসংহার

নদীর আঁকাবাঁকা ঢেউয়ে ছোট্ট একটি নৌকা চলতেও বৈঠা প্রয়োজন হয়‌। আর রঙিন এই ছলনাময়ী পৃথিবীতে নিজেদের জীবনকে সঠিক পথে পরিচালিত করার জন্য অবশ্যই প্রথমেই জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। যার জীবনের কোন লক্ষ্য নেই সে পথভ্রষ্ট। জীবনে সফলতা অর্জন করার জন্য ছাত্র জীবনেই জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করে সেই অনুযায়ী এগিয়ে যেতে হবে হবে।

রচনা লেখার কিছু এডভান্স টিপস

রচনা লেখার কিছু নিয়মাবলী রয়েছে। বিশেষ করে জীবনের লক্ষ্য নিয়ে কোন রচনা লিখতে চাইলে যে সকল বিষয় অবশ্যই মনে রাখতে হবে সেগুলো হলো
  • এমন একটি বিষয় জীবনের লক্ষ্য হিসেবে উপস্থাপন করতে হবে যে বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ ধারণা আছে।
  • রচনা মুখস্থ করার মতো বিষয় না তাই বই গাইড বা নোট থেকে রচনা মুখস্ত করে লিখা থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • রচনায় কমপক্ষে ৭-১০টি প্যারা থাকতে হবে।
  • শুরুতে ভূমিকা/উপস্থাপনা এবং শেষে উপসংহার উল্লেখ করতে হবে।
  • আলোচনার ভিতর বিশেষ কোন বিষয় উল্লেখ করলে সেগুলো পয়েন্ট আকারে লিখতে হবে
  • প্রমাণস্বরূপ কোন কিছু লিখলে সোর্স সহ উল্লেখ করতে হবে
  • একটি প্যারা লেখা শেষে পরের প্যারা শুরু করার আগে ১-২ লাইন পরিমাণ জায়গা ফাঁকা রাখতে হবে।
  • প্রতিটা প্যারা আলাদাভাবে বোঝানোর জন্য প্যারা নামটি আন্ডারলাইন করা যেতে পারে।
আজকের আর্টিকেলে জীবনের লক্ষ্য নিয়ে একটি রচনা কীভাবে লিখবেন সেই বিষয়েই আলোচনা করার চেষ্টা করলাম। যদিও রচনা পুরোটাই নিজের থেকে বানিয়ে দেখার মত একটি বিষয়। বই, গাইড, নোট অথবা এই আর্টিকেল থেকে ধারণা নিয়ে বাকিটুকু নিজে থেকে বানিয়ে লিখলে অবশ্যই উপকৃত হবেন।
পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কোনো কমেন্ট করা হয় নি
কমেন্ট করতে ক্লিক করুন

শেষ পাতার কমেন্ট পলিসি মেনে কমেন্ট করুন।

comment url